শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উৎকর্ষ বাড়াতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মূল্যায়ন করে ‘পুরস্কার’ অথবা ‘শাস্তি’ চালু করা, পরিচালন সমিতিতে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে যুক্ত করা-সহ একাধিক প্রস্তাব খতিয়ে দেখল বিধানসভার উচ্চশিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি। উচ্চশিক্ষায় পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়াতে শিক্ষানীতির সংস্কার ও পরীক্ষা পদ্ধতিতে বদল আনার আর্জিও ছিল প্রস্তাবে।
শুক্রবার প্রায় ঘণ্টাতিনেক বোলপুর কলেজের ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের সঙ্গে আলাদা করে আলোচনায় বসেন আট সদস্যের ওই কমিটির সদস্যেরা। তাঁরা কলেজের বিভিন্ন বিভাগ, গ্রন্থাগার, ল্যাবরেটরিও ঘুরে দেখেন। অধ্যক্ষ নুরশাদ আলি বলেন, ‘‘কমিটি বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছে। আমরা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছি।”
বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একাধিক বিধায়ক, উচ্চশিক্ষা দফতরের কর্মকর্তা-সহ আট সদস্যের স্ট্যান্ডিং কমিটি এ দিন বোলপুর কলেজ ঘুরে দেখেন। অধ্যক্ষ নুরশাদ আলি স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে আধ ঘণ্টার একটি ‘পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন’ রাখেন। স্ট্যান্ডিং কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজের সার্বিক ব্যবস্থার কথা তুলে ধরা হয়েছে অধ্যক্ষের ওই ৩০ মিনিটের উপস্থাপনায়। কলেজের তরফে শিক্ষাকর্মী, শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব থেকে শুরু করে বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন পরীক্ষাগারের প্রয়োজনীয় সংস্কার, শিক্ষার নানা উপকরণ এবং অডিটোরিয়ামের আর্জি জানানো হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সদস্যের কথায়, “শুধু এটা চাই, ওটা চাই নয়। বেশ কিছু প্রস্তাব রেখেছেন অধ্যক্ষ। আমরা খতিয়ে দেখছি।” কলেজ-ছুট হওয়া এবং অনুপস্থিতির অন্যতম কারণ হিসেবে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পাশাপাশি শিক্ষানীতি এবং পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। শিক্ষাঙ্গণে রক্তক্ষয় এড়াতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে পরিচালন সমিতিতে যুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।