Price Hike

বাজার চড়া, লক্ষ্মী পুজোর জোগাড়ে ট্যাঁকে টান

পুরুলিয়া শহরের ফল বিক্রেতা মহম্মদ সাত্তার ও মহম্মদ শাহরুখ জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর আগে থেকেই ফলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ দিন পুরুলিয়া শহরে আপেল সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২ ০৯:৪৯
Share:

লক্ষ্মী-পুজোর বাজারে। ( বাঁ দিক থেকে) বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায়। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুজো থেকেই আনাজ, ফল-ফুল সবের দাম চড়া। এ দিকে করোনার সংক্রমণ কমায় দু’বছর পরে অনেক পরিবার ঘটা করে লক্ষ্মীপুজোয় আয়োজন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। শনিবার আনাজ থেকে ফল, ফুল, প্রতিমা কিনতে বেরিয়ে গৃহস্থের হাতে যেন ছ্যাঁকা লাগার জোগাড়।

Advertisement

পুরুলিয়া শহরের বাসিন্দা সুদিন আধিকারী, পার্থ মুখোপাধ্যায়রা বাজার করতে বেরিয়ে বলেন, ‘‘প্রতি বছরই লক্ষ্মীপুজোর আগে ফলের দাম চড়া থাকে। এ বারেও সেটাই হয়েছে। মধ্যবিত্তের পক্ষে ধূমধাম করে লক্ষ্মীপুজো করা খুবই কষ্টকর।’’

পুরুলিয়া শহরের ফল বিক্রেতা মহম্মদ সাত্তার ও মহম্মদ শাহরুখ জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর আগে থেকেই ফলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এ দিন পুরুলিয়া শহরে আপেল সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়েছে। একটি আনারস ৮০ টাকায়। নাশপাতি কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা, বেদানা ২০০ টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। লক্ষ্মীপুজোয় শীষ যুক্ত ডাব অপরিহার্য। সেই ডাবের দাম ছিল ৪০ টাকা। কমলালেবু ও মুসম্বির দাম ছিল যথাক্রমে ৮০ ও ১০০ টাকা। এ দিন বিষ্ণুপুর চকবাজারে একটি নারকেলের দাম ছিল ৬০ টাকা। গাঁদা ফুল ১০০ টাকা কেজি, একটি পদ্ম ১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

Advertisement

লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে আসা বিষ্ণুপুরের বধূ মালতি নিয়োগী, সমাপ্তি চক্রবর্তী ও শুক্লা দত্ত বলেন, ‘‘দু’বছর সে ভাবে পুজো হয়নি বাড়িতে। এ বার নিমন্ত্রিত বেড়েছে। তাই বাজেটও বেড়েছে।’’

দামে আগুন আনাজ বাজারও। আদ্রার আনাজ বিক্রেতা বিনয় পাল জানাচ্ছেন, লক্ষ্মীপুজোর খিচুড়ি ভোগের আনাজপাতিই এ দিন বেশি বিক্রি হয়েছে। বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। কুমড়ো ২৫-৩০ টাকা কেজিতে। ফুলকপির দাম এ দিন কিছুটা বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে। বরবটি ৫০ টাকা, মুলো ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ ও ক্যাপসিকাম এবং বিনস বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি দামে। ব্যবসায়ীদের দাবি, পাইকারি বাজারেই চড়া দর। চাহিদা মতো বেশি পরিমাণে আনাজ পাওয়া যায়নি।

প্রতিমার দামও অনেক বেড়েছে বলে আক্ষেপ গৃহস্থের। বাঁকুড়া শহরের নবীন সরকার বলেন, ‘‘গত বছর যে আয়তনের প্রতিমা পাঁচশো টাকায় কিনেছি, এ বার তার দাম ৯০০-১,০০০ টাকা!’’

পুরুলিয়া শহরের বধূ স্বাতী সরকার বলেন, ‘‘আগে লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে গিয়ে চড়া দাম দেখে অবাক হতাম। এখন সেটা গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে আনাজ ও ফলের দাম বাড়বে এটা ধরে নিয়েই সাধ্যমতো পুজোর আয়োজন করি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement