school

school: চলছে মেরামত, খুলে যাচ্ছে স্কুল

অধিকাংশ স্কুলের পরিকাঠামোগত বেহাল দশা ঘোচাতে যে সরকারি সাহায্য এসেছে, সেটা স্কুল খোলার আগে আর কাজে লাগল না বহু স্কুলে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২১ ০৫:৫৪
Share:

কোভিড-বিধি নিয়ে নির্দেশিকা। সিউড়ির একটি স্কুলে। নিজস্ব চিত্র।

আজ বাদে আগামীকাল মঙ্গলবার খুলে যাচ্ছে স্কুল। আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শুরু হচ্ছে। তার আগে স্কুলে স্কুলে জীবাণুনাশ থেকে শুরু করে স্কুল চত্বর পরিচ্ছন্ন করার শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। তবে কিছু কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষের আক্ষেপ দেড় বছর বন্ধ থাকার পরে অধিকাংশ স্কুলের পরিকাঠামোগত বেহাল দশা ঘোচাতে যে সরকারি সাহায্য এসেছে, সেটা স্কুল খোলার আগে আর কাজে লাগল না বহু স্কুলে।

Advertisement

তবে স্কুল খোলার আগে প্রস্তুতিতে খামতি নেই স্কুলে স্কুলে। তার মধ্যে আছে সমস্যাও। তাঁতিপাড়া নবকিশোর বিদ্যানিকেতন স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার স্কুল খুললে চারটি ক্লাসের ৫০০ পড়ুয়া আসতে পারে। এখনও স্কুলের পানীয় জলের পাইপলাইন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে চাঙড় খসে পড়ার মতো উপক্রম। ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ বাথরুমের অবস্থা খুব খারাপ। প্রধান শিক্ষক সুবীর ঘোষ বলছেন, ‘‘আমার স্কুলের জন্য বরাদ্দ ৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। কিন্তু কাজে এখনও হাত পড়েনি।’’

দুবরাজপুরের ছিনপাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ মজুমদার জানাচ্ছেন, স্কুলের অন্য খাত থেকে যেটুকু করা সম্ভব করেছেন। কিন্তু, সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চার লক্ষাধিক টাকার কাজে হাত পড়েনি। একই কথা জানাচ্ছেন সিউড়ি আরটি গার্লস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ক্রিস্টিনা মার্ডি। মাত্র ২৯ হাজার ৯৯৫ টাকা এসেছে স্কুলের সংস্কারে। সেই কাজ শুরু হয়নি। ওই টাকায় বেঞ্চ তৈরি, সংস্কার, শ্রেণিকক্ষের ফাটল মেরামত সহ বেশ কিছু কাজ হবে।

Advertisement

আলাদা ছবিও আছে। হেতমপুর রাজ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর স্কুলে বরাদ্দ ১ লক্ষ ৭২ হাজার টাকার কাজ প্রায় শেষ। প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের জেলা সম্পাদক তথা নানুরের বঙ্গছত্র লবঙ্গলতিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জগবন্ধু রায় বলছেন, ‘‘বরাদ্দ খুব কম। কোনও রকমে জোড়া তালি দিয়ে স্কুল খোলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’’ নানুরে অন্য স্কুলে কাজ হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এমন তো নয় যে কোভিডে গোটা স্কুল ভেঙে পড়েছিল। ক্লাসও শুরু হচ্ছে চারটি শ্রেণিতে। ওই ক্লাসগুলির করার জন্য যেটুকু তৈরি থাকার কথা সেটুকু তৈরি হয়ে গিয়েছে জেলার প্রায় সব স্কুলে। কোথায় খামতি প্রশাসনের কর্তারা ঘুরে দেখেছেন। আগেই ‘কম্পোজিট গ্রান্ট’ বাবদ ৩৭০টি স্কুলকে দেড় কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ওই খাতের দশ শতাংশ স্কুল স্কুল পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুনাশ করার জন্য খরচের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কিছু খামতি থাকলেও শিক্ষক, শিক্ষিকারা বেশি ভাবছেন সরকারি নির্দেশিকা মেনে সংক্রমণ বাঁচিয়ে কী ভাবে পড়ুয়ারা পাঠদান করবেন সেটা নিয়েই। অনেক স্কুল দেখে প্রথম দিনের উপস্থিতি দেখে পরিকল্পনা সাজাতে চাইছে। তবে, স্কুল আসার সময় (নবম ও একাদশ শ্রেণির জন্য ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ৩-৩০ মিনিট। দশম, দ্বাদশের জন্য সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে চারটে) নিয়ে আপত্তি রয়েছে কিছু অভিভাবক, শিক্ষকের। আপত্তির প্রধান কারণ, এই ক্লাসের পড়ুয়ারা মিড-ডে মিল পায় না। ফলে এক জন পড়ুয়া (বিশেষত গ্রামীণ এলাকার) কী ভাবে সকাল সাড়ে ন’টায় খেয়ে এসে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত ক্লাস করবে ভাবাচ্ছে সেটাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement