প্রশান্ত কিশোর।
পুর-নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে শনিবার পুরুলিয়া ঝালদা শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে সমীক্ষা চালাল ভোট-কুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল। এ দিন ওই দলের চার সদস্য ঝালদা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টিতে ঘোরেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের পুরসভা ও কাউন্সিলরদের সম্পর্কে মতামত সংগ্রহ করেন। পরে তাঁরা কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গেও কথা বলেন। তবে ওই দলের সদস্যেরা এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি। স্থানীয় সূত্রের খবর, পিকে-র দল বাসিন্দাদের কাছে মূলত এলাকায় কী-কী সমস্যা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরা ঠিক মতো কাজ করছেন কি না, তা বাসিন্দাদের কাছে খুঁটিয়ে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই দলের সদস্যেরা।
বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পরে ওই দল গিয়ে পৌঁছয় ঝালদার পুরপ্রধান-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলরের কাছে। তাঁদের কাছ থেকেও বিভিন্ন ওয়ার্ডের খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ওই দলের সদস্যেরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম এবং ফোন নম্বর, গত পুরনির্বাচনে ঝালদা শহরের ওয়ার্ডভিত্তিক ফলাফল থেকে শুরু করে নানা খুঁটিনাটি তথ্য জেনে নেন। পরে ঝালদার পুরপ্রধান তৃণমূলের প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘প্রশান্ত কিশোরের লোকজন আমাদের কাছে এসেছিলেন। তাঁরা যা জানতে চেয়েছেন, সমস্ত তথ্য
দেওয়া হয়েছে।’’
১২ ওয়ার্ডের ঝালদা পুরসভায় পাঁচ বছর আগে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল কংগ্রেস। তৃণমূল একটিও আসনে জেতেনি। পরে দলবদলের জেরে পুরসভার দখল নেয় তৃণমূল। বর্তমানে সেই নিরিখে তৃণমূলের কাউন্সিলরের সংখ্যা আট। বিজেপির দুই, কংগ্রেসের এক। এক কংগ্রেস কাউন্সিলর মধুসূদন কয়াল মারা গিয়েছেন।