অবরোধে গ্রামবাসী। নিজস্ব চিত্র
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (প্লাস) বাড়ি পাওয়া নিয়ে অসন্তোষ থামছে না। ওই প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকায় বেনিয়মের অভিযোগ-সহ কয়েক দফা দাবিতে পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে পথ অবরোধ করলেন গ্রামবাসী। বৃহস্পতিবার সারেঙ্গা ব্লকের চিলতোড় পঞ্চায়েতের ঘটনা। পরে পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রায় বিকাল ৪টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে ভারতী টুডু, আহ্লাদি টুডুর অভিযোগ, ‘‘আবাস যোজনার তালিকা তৈরি নিয়ে বেনিয়ম হওয়ায় গ্রামের প্রকৃত গরিব মানুষেরা বঞ্চিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, বিডিও-র কাছে আবেদন জনিয়েও ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে পথে নেমেছি।’’
বাগজাতা গ্রামে প্রায় একশো পরিবারের বসবাস। কিন্তু সেখানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকা নিয়েও এ দিন বিক্ষোভে শামিল হন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, গ্রাম থেকে প্রায় দেড়-দুই কিলোমিটার দূরে চাকনাড়া ও যদুগোড়ায় পড়াশোনা করতে যেতে হয় খুদেদের।
পঞ্চায়েতে তালা দেওয়ায় প্রধান-সহ কর্মীরা আটকে যান। অবরোধ করা হয় বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম ৯ নম্বর রাজ্য সড়কের উপরে বাগজাতা মোড়ে। এতে সমস্যায় পড়েন যাত্রীদের একাংশ। তালড্যাংরা থেকে ফুলকুসমায় আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য বেরিয়ে অবরোধে আটকে পড়েন সনাতন মুর্মু নামে এক মাঝ বয়সি ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘‘দুপুর ১২টা থেকে প্রায় দু’ঘণ্টা আটকে থেকেও অবরোধ না ওঠায় শেষে হেঁটে রাইপুরের উদ্দেশে রওনা দিই। সেখান থেকে অন্য বাস ধরব।’’
ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক ও পুলিশ কর্মীরা গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। বিডিও (সারেঙ্গা) ফাহিম আলম বলেন, ‘‘ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশের তরফের ওই গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসা হয়েছে। তাঁদের দাবি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। গ্রামে স্কুল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে যে দাবি রয়েছে, তা-ও কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’’