বাসের পিছনে সাঁটানো সেই পোস্টার। —নিজস্ব চিত্র।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য। সেই আবহেই এ বার বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠল একই অভিযোগ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর জুড়ে বেশ কিছু পোস্টার সাঁটানো ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়েছে।(যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। সেই পোস্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমি বিল্ডিংয়ের একতলার পার্কিং এলাকার দেওয়ালে কিছু ছাপানো পোস্টার সাঁটা হয়েছে। শুধু দেওয়ালে নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসের পিছনেও এমন পোস্টার সাঁটানো হয়। কে বা কারা এই পোস্টার সাঁটিয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি নজরে আসতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়াল থেকে সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন কর্তৃপক্ষ।
কী আছে ওই পোস্টারে? কোনও পোস্টারে লেখা, ‘‘লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এক প্রোমোটারকে উপাচার্যের গাড়ির বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ আবার কোনও পোস্টারে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হস্টেল এখনও চালু হয়নি কেন?’’ নির্বাচনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্টের পর কেন তা পূরণ করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পোস্টারের ভিডিয়ো সামাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা একটি বাসের পিছনে সাঁটানো বেশ কিছু পোস্টার থেকে গিয়েছিল।
এ বিষয়ে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ সুরাল বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে প্রথম এই পোস্টারের কথা জানতে পারি। পোস্টারগুলিতে কী বিষয়বস্তু রয়েছে, তা দেখতে হবে। কে বা কারা, কেন এই পোস্টার দিয়েছেন, তা খুঁজে বার করা বেশ কঠিন।’’ এর পরই তিনি বলেন, ‘‘কারও যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তবে তিনি সরাসরি এসে জানালে আমি সাধ্য মতো পদক্ষেপ করতাম।’’ পোস্টারে যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছে সে সম্পর্কে উপাচার্যের স্পষ্ট দাবি, ‘‘এই ধরনের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই।’’