উপরে, পুরুলিয়া শহরে ও নীচে, বিষ্ণুপুরে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময়ে মিছিল, লোক জমায়েতের ছবি দেখা গেল দুই জেলাতেই। মনোনয়নের অফিস চত্বরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে ভিড় এড়ানো গেলেও, শহরের রাস্তায় ঝান্ডা, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে জমায়েতের ছবি দেখা গেল।
এ দিন ঝালদা পুরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টিতে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেন। দু’জন আগেই জমা দিয়েছেন। এ দিন ওই ১০ প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল দেখা যায়। হাঁটতে দেখা গিয়েছে এলাকার বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো, আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি উজ্জ্বল কুমারদের। কংগ্রেসের ঝালদা শহর কার্যকরী সভাপতি বিপ্লব কয়ালের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের মিছিলে অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। শাসক দলই যদি বেপরোয়া মনোভাব দেখায়, সেটা লজ্জার।’’ যদিও তৃণমূলের ঝালদা শহর সভাপতি দেবাশিস সেনের দাবি, ‘‘অধিকাংশর মুখেই মাস্ক ছিল। কয়েক জন হয়তো তাড়াহুড়োয় ভুলে গিয়েছেন।’’
এ দিন পুরুলিয়া শহরে বিজেপির সমস্ত প্রার্থী এক সঙ্গে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান। মিছিলের ভিড়ে কোভিড-বিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠেছে। দলের জেলা সভাপতি বিবেক রঙ্গার যদিও দাবি, ‘‘আমাদের সমস্ত প্রার্থী একই সঙ্গে মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়েছিলেন। তাঁদের সঙ্গে প্রস্তাবক ও সমর্থক ছাড়া মাত্র কয়েক জন করে লোক ছিলেন। বেশি লোক ছিলেন না।’’ মনোনয়ন উপলক্ষে নানা পক্ষের জমায়েত দেখা গিয়েছে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরেও।