বর এসে গিয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিয়ে হয়ে যেত এক নাবালিকার। তার আগেই খবর পেয়ে বিয়ের আসরে গিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত এক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করল পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। পাত্রসায়র ব্লকের বালসি ২ পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা। প্রশাসন সুত্রের খবর, পাত্রসায়রের ওই গ্রামে শনিবার এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন পাকা করে ফেলেছিলেন বাড়ির লোকজন। বছর ১৬-র ওই কিশোরী স্থানীয় একটি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার সঙ্গে ইন্দাসের এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। খবর পেয়ে পাত্রসায়রের বিডিও অপূর্বকুমার বিশ্বাস এবং থানার ওসি রামনারায়ণ পাল ওই গ্রামে মেয়েটির বাড়ি যান। ওই নাবালিকার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বুঝিয়ে বিয়ে বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করেন।
পাত্রসায়র থানার ওসি রামনারায়ণ পাল বলেন, “ওই গ্রামে এক নাবালিকার বিয়ে হচ্ছিল বলে খবর পেয়েছিলাম। রাতেই পাত্রসায়রের বিডিও-কে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির বাড়ি যাই। তখন বর এসে গিয়েছিল। মেয়েটির বাবাকে বুঝিয়ে এই বিয়ে না দেওয়ার জন্য রাজি করানো হয়। মেয়েটির বাবা লিখিত ভাবে একটি মুচলেকা দিয়ে জানিয়েছেন মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা বিয়ে দেবেন না।” মেয়েটির বাবা পেশায় দিনমজুর। তিনি বলেন, “আমার কষ্টের সংসার। ভাল পাত্র পেয়ে মেয়েকে সাত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে চেয়েছিলাম। বিডিও এবং ওসি এসে ১৮ বছরের কম বয়সী মেয়েকে আপাতত বিয়ে না দেওয়ার জন্য বলেছেন। আমি এখন মেয়ের বিয়ে দেব না বলে জানিয়ে দিয়েছি।” থানার ওসি জানান, ওই নাবালিকা স্কুলছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পে নথিভুক্ত। ওর পরিবার চাইলে ওকে পড়াশোনায় সাহায্য করা হবে।