থানায় আবাসনের মধ্যে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হলেন এক পুলিশ কনস্টেবল। বুধবার দুপুরে বাঁকুড়ার সারেঙ্গা থানার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কনস্টেবলের নাম বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় (৩৫)। তাঁর বাড়ি ওন্দা থানার দামোদরবাটি গ্রামে। বিপ্লববাবু পুরুলিয়া পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার বলেন, “বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় নামে ওই কনস্টেবলের স্ত্রী সারেঙ্গা থানায় কর্মরত। এ দিন দুপুরে আবাসনের ভিতরে নিজের সার্ভিস রিভলবার থেকে ওই কনস্টেবল মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তিনি জানান, কী কারণে ওই কনস্টেবল এমন কাণ্ড করলেন তদন্ত করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ থানার ভিতরে পুলিশ কর্মীদের একটি আবাসন থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। শব্দ শুনেই থানার পুলিশ কর্মীরা আবাসনের দিকে ছুটে যান। থানার এক পুলিশকর্মীর জানান, আবাসনের মধ্যে গুলির শব্দ শুনে পুলিশ কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। কোথা থেকে শব্দটা এসেছে খোঁজ করতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, গুলি চলেছে এক মহিলা পুলিশকর্মীর ঘর থেকে (বিপ্লববাবুর স্ত্রীর ঘর)। তাঁর তথায়, “আমরা ওই মহিলা কনস্টেবলের ঘরে গিয়ে দেখি দরজা ভিতরে থেকে বন্ধ। সেই সময় ওই মহিলা আবাসনে ছিলেন না। তিনি থানায় ডিউটিতে ছিলেন। খবর পেয়ে তিনিও ছুটে আসেন। দরজা ভেঙে দেখা যায়, মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে বিপ্লববাবু।” পুলিশ কর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সারেঙ্গা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সক মৃত বলে জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সারেঙ্গা থানায় কর্মরত নিজের স্ত্রী-র কাছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসেছিলেন বিপ্লববাবু। প্রায় দু’বছর আগে মহিলা কনস্টেবল অর্পিতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বিপ্লবের। থানার পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, এ দিন অবশ্য বিপ্লববাবুর আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা দেখতে পাননি তাঁরা। মৃতের পরিবারের লোকেরা অবশ্য এ দিন কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। মৃতের স্ত্রী-র সঙ্গেও কথা বলা যায়নি।