ভোটের ডিউটিতে আসা ভিন্ রাজ্যের দুই পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হল পুরুলিয়ায়। একজন রাজস্থান আর্ম়ড পুলিশের এক হেড কনস্টেবল। গুলিবিদ্ধ হয়ে তাঁর ম়ৃত্যু হয়েছে। অন্যজন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কর্মী। দুর্ঘটনায় তিনি মারা গিয়েছেন। দু’টি ঘটনাই ঘটেছে শুক্রবার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিতে মৃত কনস্টেবলনের নাম পোখরাজ (৪৯)। তাঁর বাড়ি রাজস্থানের যোধপুরে। ভোটের নিরাপত্তার কাজে আসা পুলিশের ওই দলটি পুঞ্চার আদিবাসী হস্টেলে শিবির করে রয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, নিজের বন্দুক থেকে কোনও ভাবে গুলি ছিটকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সওয়া ২টো নাগাদ পুরুলিয়ার পুঞ্চা থানার নপাড়া আদিবাসী হস্টেলের ঘটনা। গুলি বুকে বিঁধে মাথা দিয়ে বের হয়ে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে এটি দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার সময় যাঁরা সেখানে ছিলেন, তাঁদের জি়জ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ডাম্পারের ধাক্কায় মোটরবাইকে থাকা এক পুলিশ কর্মী ও এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সাঁতুড়ি ও বাঁকুড়া সীমানায় রঘুনাথপুর-বাঁকুড়া রাস্তায়, সাঁতুড়ির মাড়বেদিয়া গ্রামের অদূরে। পথ দুর্ঘটনায় মারা যান নির্বাচনের কাজে আসা ওই পুলিশ কর্মী ও এক শিক্ষকের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম ওঙ্কার সিংহ যাদব (২৯)। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। দুর্ঘটনায় তাঁরই সঙ্গে মারা গিয়েছেন সাঁতুড়ি থানারই কোটালডি গ্রামের বাসিন্দা মানিক মণ্ডল (৩১) নামের ওই শিক্ষক। মানিকবাবু বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার শ্যামপুর হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণ ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণের দাবিতে দেহ দু’টি আটকে রাস্তা অবরোধ করেন। পথ অবরোধ তুলতে নাকাল হয় পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো এ দিন বাড়ি থেকে মোটরবাইকে স্কুলে যাচ্ছিলেন মানিকবাবু। মাড়বেদিয়া হাইস্কুলের কাছে তাঁকে শালতোড়া পর্যন্ত পোঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ওই পুলিশ কর্মী। মাড়বেদিয়া স্কুলে শিবির করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় এটিম না থাকায় শালতোড়ায় গিয়ে এটিম থেকে টাকা তুলতে ওই শিক্ষকের মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন ওই পুলিশ কর্মী। রাস্তায় একটি পাথরবোঝাই ডাম্পারের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। পুলিশ ডাম্পারটিকে আটক করেছে।