Bike Accident

বাইক দুর্ঘটনা থামার নাম নেই, ঘটছে মৃত্যু

পুলিশের দাবি, এক দিকে অধিকাংশ বাইক আরোহীর হেলমেট না-পরার অভ্যাস, অন্য দিকে বেহাল রাস্তা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মহম্মদবাজার, সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ০৯:১৭
Share:

দুর্ঘটনায় আহত সমীর বাগদি সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন। নিজস্ব চিত্র।

বাইক দুর্ঘটনার যেন বিরাম নেই ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। বুধবার, মহরমের রাতেই রামপুরহাট থানা এলাকায় ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দু’টি মোটরবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার জাতীয় সড়কের উপরে সিউড়ি ও মহম্মদবাজারে দু'টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই জনের। গুরুতর আহত দু’জন।

Advertisement

পুলিশের দাবি, এক দিকে অধিকাংশ বাইক আরোহীর হেলমেট না-পরার অভ্যাস, অন্য দিকে বেহাল রাস্তা। দুইয়ে মিলে যে কোনও দুর্ঘটনাই প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে জাতীয় সড়কে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ দিন সাবিত্রী বাগদি (৫৪) নামে এক প্রৌঢ়া সিউড়ি ১ ব্লকের মল্লিকপুর পঞ্চায়েতের পানুরিয়া সংলগ্ন মুরোমাঠ গ্রামে, নিজের মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে মেয়ে ও নাতির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বেলা ১১টা নাগাদ নাতি সমীর বাগদির সঙ্গে মোটরবাইকে রাজনগরের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। জাতীয় সড়কের উপরে, চন্দ্রভাগা নদীর সেতু পার করেই একটি মালবাহী গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাইকের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়ি ও বাইক একই দিকে যাচ্ছিল। বাইক নিয়ে মালবাহী গাড়ির পাশ দিয়ে বেরোতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সাবিত্রীর। গুরুতর আহত অবস্থায় নাতিকে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। দুই আরোহীর মাথাতেই হেলমেট ছিল না বলে স্থানীয়েরা জানান।

এ দিনই ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে, প্রায় একই সময় মহম্মদবাজার থানার সেহেড়াকুড়ি বাসস্ট্যান্ডের কাছে পৃথক বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় এক যুবকের। পুলিশ জানায়, একটি ট্রাক সিউড়ি থেকে মহম্মদবাজারের দিকে যাচ্ছিল। আর মহম্মদবাজার থেকে সেই সময় ভুতুড়া পঞ্চায়েতের শঙ্করপুর গ্রামের নিজের বাড়ির দিকে মোটরবাইকে চেপে আসছিলেন একই পরিবারের দুই সদস্য অয়ন মাল (২০) এবং আকাশ মাল। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে বাইকের। পুলিশ দ্রুত আহতদের চিকিৎসার জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই মৃত্যু হয় অয়নের। বছর সতেরোর আকাশকে গুরুতর আহত অবস্থায় বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রেও দুই যুবকের মাথায় হেলমেট ছিল না বলেই প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি।

Advertisement

১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে বারবার বাইক দুর্ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাস্তার অবস্থা এবং পুলিশের ভূমিকা। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক যদিও বলেন, “রাস্তার অবস্থা সত্যিই খুব খারাপ। তাই পথ দুর্ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন মোড়ে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হয়। তবে তাঁরা যান নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও গতি নিয়ন্ত্রণ করা বা হঠাৎ ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা আটকানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।’’ তাঁর দাবি, জাতীয় সড়কের উপরে বাইক আটকে হেলমেট পরীক্ষা করাও সম্ভব নয়। গতি নিয়ন্ত্রণ এবং হেলমেট পরার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বিশেষত যুবকদের আরও সতর্ক ও সচেতন হওয়া দরকার বলেই পুলিশের মত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement