শান্তিনিকেতনে পূর্বপল্লির মাঠে ‘বিকল্প’ পৌষমেলায় ঢোকা আটকাতে সব গেটে পুলিশ দিয়ে আটকানো হচ্ছে এবং মেলা থেকে বেড় করে দেওয়া হচ্ছে। শনিবার। ছবিঃ বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
খাতায় কলমে ‘বিকল্প’ পৌষমেলা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। শুক্রবারও অবশ্য শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির মাঠে দেদার কেনাবেচা হয়েছে। তবে, বিশ্বভারতীর শর্ত মেনে জেলা প্রশাসন কঠোর হতেই শনিবার অন্য ছবি দেখা গেল মেলামাঠে। ব্যবসায়ীরা দোকান তুলতে শুরু করলেন। মেলায় প্রবেশ থেকে আটকানো হল পর্যটকদেরও।
তাতেও শর্ত মেনে মেলা শেষের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেলার মাঠ সম্পূর্ণ খালি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে পারবে কি না জেলা প্রশাসন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। মেলার মাঠের সামনের অংশের স্টল উঠলেও মূলত শালপট্টি জুড়ে এ দিনও বহু দোকানদার পসরা নিয়ে বসেছিলেন সকাল থেকে। কম দামে সেই সমস্ত জিনিসপত্র দেওয়ায় বহু মানুষ ভিড়ও করতে শুরু করেন।
পরিস্থিতি বুঝে লাঠি হাতে মাঠে নামে পুলিশ। মেলার মাঠের গেট বেলার দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে পর্যটকেরা ভিতরে ঢুকতে না পারেন। যাঁরা ঢুকতে যাচ্ছিলেন পুলিশকর্মীরা তাঁদের বাধা দিয়ে তাঁদের বের করে দেন। মাঠ জুড়ে চলে পুলিশের অভিযান। সমস্তটা খতিয়ে দেখেন জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ। ছিলেন পুর-প্রতিনিধি এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। বারবার নিষেধ সত্ত্বেও যে সমস্ত ব্যবসায়ী এ দিনও মেলায় বেচাকেনা করছিলেন, পুলিশ তাঁদের তুলে দেয়।
এ দিনের অভিযানে দোকানদারদের ওঠানো গেলেও মেলার মাঠ জুড়ে বহু কাঠামো রয়ে গিয়েছে। মেলার মাঠেই এ দিন গিয়ে দেখা গিয়েছে সেই দোকানের কাঠামো পড়ে থাকার দৃশ্য।
যদিও মহকুমাশাসক (বোলপুর) অয়ন নাথ বলেন, “ভাঙা মেলা চলার যে রীতি, তা আমরা এ বারে অনেকটাই আটকাতে পেরেছি। মেলার পরিকাঠামো তৈরি হতে সময় লেগেছে। একই ভাবে তা তুলতেও কিছু সময় লাগবে।’’ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, “এই কারণেই ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে পরিবেশ আদালতে মামলা হয়েছে।’’