শান্তিনিকেতনের খোয়াই ধ্বংস করে বেআইনি ভাবে নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ পেয়ে সেই কাজ বন্ধ করে দিল পুলিশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর অভয়ারণ্যের কাছে।
শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, প্রাক্তনী থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শান্তিনিকেতনের চারপাশ ক্রমেই কংক্রিটের জঙ্গলে ভরে উঠছে। তাঁদের আশঙ্কা, অবিলম্বে প্রকৃতি বাঁচাতে পদক্ষেপ না-করলে কংক্রিটের বেড়াজালে একদিন হারিয়ে যাবে রবীন্দ্রনাথের সাধের শান্তিনিকেতন। তা সত্ত্বেও কংক্রিটের নির্মাণ হয়েই চলেছে বলে অভিযোগ। ব্যতিক্রম নয় খোয়াইও। শান্তিনিকেতনকে ঘিরে থাকা এই খোয়াইয়ে বেহিসেবি নির্মাণকাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে বারেবারে।
বল্লভপুর অভয়ারণ্যে সংলগ্ন বেশ কয়েক বিঘা জায়গায় খোয়াই ধ্বংস করে পে-লোডার দিয়ে মাটি ভরাট করে দিন দুয়েক ধরে কেউ বা কারা নির্মাণকাজ চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা এ নিয়ে এলাকার পুর-প্রতিনিধি ও শান্তিনিকেতন থানায় মৌখিক অভিযোগ জানান। এর পরেই বুধবার পুলিশ ও পুর-প্রতিনিধির প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে। পুর-প্রতিনিধি ধর্মেন্দ্র সিংহ বলেন, “কিছু মানুষ মঙ্গলবার আমাকে জানান, বল্লভপুর অভয়ারণ্য সংলগ্ন এলাকায় পে-লোডার নামিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি। কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি নির্মাণের জন্য। এ দিন আমার ওয়ার্ডের সুপারভাইজার এবং কয়েক জনকে পাঠিয়ে সঙ্গে পুলিশ গিয়ে সেই কাজ বন্ধ করে। যাঁরা এই কাজ চালাচ্ছিলেন, তাঁদেরকে বৈধ কাগজ নিয়ে পুরসভায় দেখা করতে বলা হয়েছে।’’
বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ বলেন, “বিষয়টা এখনও পর্যন্ত আমার জানা নেই। কারা সেই নির্মাণ কাজ চালাচ্ছিলেন, কেন খোয়াই ধ্বংস করে নির্মাণ কাজ চালাতে হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, আপাতত সেখানে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বৈধ কাগজ নিয়ে জায়গার মালিকপক্ষকে দেখা করতে বলা হয়েছে।