বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনে উদ্ধার হওয়া সাপ। নিজস্ব চিত্র
বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারের পরে বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনের শৌচালয়। আবার উদ্ধার হল সাপ। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, সাপটি বিষধর চন্দ্রবোড়া প্রজাতির। শুক্রবারের এই ঘটনায় আতঙ্কিত বিশ্বভারতীর শিক্ষা বিভাগের কর্মী, শিক্ষক ও পড়ুয়ারা।
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, এ দিন দুপুরে শিক্ষাভবনের অফিসের শৌচালয় গিয়ে বিশ্বভারতীর এক কর্মী লক্ষ করেন, পাইপের মুখে কিছু একটা রয়েছে। এর পরেই তিনি ভবনের অধ্যক্ষকে খবর দেওয়ার পাশাপাশি বাকি কর্মীদের জানান। ঘটনাস্থলে অধ্যক্ষ ও কর্মীরা দেখতে পান সেখানে সাপ লুকিয়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি তাঁরা বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের কর্মীরা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। তাঁরা জানান, এটি বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপ। এই ঘটনার জানাজানি হতেই শিক্ষাভবন চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তবে বিশ্বভারতীতে সাপ বেরনোর ঘটনা় এই প্রথম নয়। এর আগেও বিশ্বভারতীর একাধিক ভবন সাপ বেরিয়েছে। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, বছর চার-পাঁচ আগে শিক্ষাভবনের একটি শীততাপ যন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছিল। সেটিকে সারানোর সময়ে সাপের একটি খোলস উদ্ধার হয়। তবে অফিসের শৌচালয় থেকে বিষধর সাপ উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম।
কর্মী, শিক্ষক ও পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, শৌচালয়ের পিছনের অংশ গাছপালায় ভরে উঠেছে। দীর্ঘ দিন ধরে পরিষ্কার না হওয়ার কারণেই সাপের উৎপাত শুরু হয়েছে। ঘটনার পরেই শৌচালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফিনাইল ছড়ানো হয়। বিশ্বভারতীর শিক্ষাভবনের কর্মী নওদর মোল্লা বলেন, “ঘটনায় আমরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। ঠিক সময়ে দেখতে পাওয়ায় আজ বড় ধরনের বিপদ ঘটেনি। বিষয়টি আমরা অধ্যক্ষকে জানিয়েছি।”
‘বন্যজীব অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো’র সদস্য দীনবন্ধু বিশ্বাস বলেন, “সাপটি বিষধর। সাপ শীতল রক্তের প্রাণী। এরা বেশি ঠান্ডা বা বেশি গরম কোনওটাই সহ্য করতে পারে না। খুব সম্ভবত মারাত্মক তাপের হাত থেকে রক্ষা পেতে হাসপাতালের মতো এখানেও একই ভাবে ঢুকে পড়েছিল। ঠিক সময়ে না দেখলে বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারত।” তবে এ নিয়ে বিশ্বভারতীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।