শান্তিনিকেতনে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।
থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর সহ মারধরের অভিযোগ উঠল। কাঁকরতলার ওই হামলার সঙ্গে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী শেখ সেলিম জড়িত এই অভিযোগ তুলে তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বাবুইজোড়-সিউড়ি রাস্তা দু’ঘণ্টার বেশি অবরোধ করে রাখেন বিজেপি কর্মীরা। পরে ডিএসপি হেড কোয়ার্টার কাশীনাথ মিশ্র এলাকায় পৌঁছে দুষ্কৃতীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয়।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অরিন্দম মুখোপাধ্যায় জানান, নেতৃত্বের নির্দেশে কাঁকরতলা থানা ঘেরাও চলছিল। দুপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মীরা কাঁকরতলায় জমায়েত হচ্ছিলেন। তখনই থানা থেকে প্রায় দুই তিন কিলোমিটার দূরে বিনোদপুর এবং কাঁকরতলার মাঝে কর্মীদের গাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী শেখ সেলিম সহ আরও কয়েক জন। তিন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়। তাঁদের নাকড়াকোন্দায় খয়রাশোল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়।
কাঁকরতলা ছাড়া অন্য থানা এলাকায় গণ্ডগোলের পাওয়া যায়নি। তবে এই কর্মসূচি ঘিরে দিনভর পুলিশ, প্রশাসনের তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। পুলিশ পক্ষপাত করলে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। শ্যামাপদর কটাক্ষ, ‘‘পুলিশ বিজেপির প্রতি তৃণমূলের অত্যাচার ধৃতরাষ্ট্রের মতো চোখ বুজে দেখছে। বিজেপি কর্মীদের বেছে বেছে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতার করছে। আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেক মামলা থাকলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’ বিজেপি কর্মীদের লাভপুর থানায় হাতে তির-ধনুক নিয়ে জমায়েত হতে দেখা যায়। অন্য ব্লকগুলিতেও এই কর্মসূচি ঘিরে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।