প্রতীকী ছবি।
লালারসের নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল বীরভূম জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান, বেশ কয়েকবার অনুরোধ করার পরেও সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে গেলেন না কড়িধ্যায় মৃতের পরিবার, আত্মীয়পরিজন এবং প্রতিবেশীরা, যাঁরা ওই মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন। কিন্তু কেন তাঁরা গেলেন না? শুক্রবার
রাত পর্যন্ত মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উজ্জ্বল সিংহ বলেন, ‘‘এ দিন যিনি মারা গিয়েছেন, তাঁর পারলৌকিক কাজ ছিল। সেই কারণে কেউ যেতে পারেননি। পরিবর্তে আজ, শনিবার তাঁরা যাবেন।’’
প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে সিউড়ি শহর লাগোয়া কড়িধ্যা গ্রামের সেনপাড়ার এক ব্যক্তি মারা যান। মারা যাওয়ার ঠিক আগের দিন তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা দেন। কিন্তু তার পরেও হাসপাতালের পক্ষ থেকে মৃতদেহ ছেড়ে দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলবেলা জানা যায় যে ওই ব্যক্তির রিপোর্ট পজ়িটিভ। এলাকায় তা নিয়ে আতঙ্ক বাধে। সেই আতঙ্কের প্রভাব পড়েছে জেলা সদরেও। স্থানীয়রা অনেকেই বলছেন যে, হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ছেড়ে দেওয়ায় তাঁরা ধরে নিয়েছিলেন যে মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত নন। কারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন তা খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, মৃতের পরিবার প্রথম দিন থেকেই বিষয়টি লুকিয়ে রেখেছিলেন, যার জন্য এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কড়িধ্যার ঘটনা জানাজানি হতেই সিউড়ি শহরবাসীর একাংশের প্রশ্ন, যাঁরা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই নিজের এলাকার পাশাপাশি সিউড়ি শহরেও হয়তো এসেছেন। ফলে শহরেও সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন এরকম ৬৭ জনের তালিকা করা হয়েছে যাঁদের শুক্রবার পরীক্ষার করানোর কথা ছিল কিন্তু তাঁরা কেউই যাননি। পরিবর্তে ওই গ্রামের মালপাড়ার এক যুবকও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই যুবকের সংস্পর্শে আসা কয়েকজনের এ দিন লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ব্লক প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘শুক্রবার লালারসের নমুনা সংগ্রহের কথা ছিল কিন্তু হয়নি। সেটি শনিবার হবে বলে ঠিক হয়েছে।’’