হাঁড়ি ভাঙায় মাতল খাতড়া

শরৎপল্লি উৎসব কমিটির সদস্য পটল বাউরি, কানাই বাগদি, প্রসূন পান্ডা জানান, গত ১০ বছর ধরে তাঁরা জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করে আসছেন। এই উপলক্ষে কমিটির তরফে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খাতড়া শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৯ ০১:০৭
Share:

জন্মাষ্টমীতে। নিজস্ব চিত্র

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ‘দধিকাদা’ উৎসব ও ‘হাঁড়ি ভাঙায়’ মাতল খাতড়া শহর-সহ এলাকার বাসিন্দারা। শনিবার বিকেলে এই উৎসব দেখতে অসংখ্য মানুষের ভিড় হয় শহরে। খাতড়া শরৎপল্লি (বেমনারপাড়) ও জন্মাষ্টমী কমিটির (হালদার দুর্গা মেলার সামনে) এই উৎসব চলে। আজ, রবিবার ন্যাশনাল ক্লাব (মাঝ বাউরি পাড়া) কমিটির হাঁড়ি ভাঙা হওয়ার কথা শহরের রাস্তায়।

Advertisement

শরৎপল্লি উৎসব কমিটির সদস্য পটল বাউরি, কানাই বাগদি, প্রসূন পান্ডা জানান, গত ১০ বছর ধরে তাঁরা জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করে আসছেন। এই উপলক্ষে কমিটির তরফে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাঁরা জানান, জন্মাষ্টমীর পরের দিন বাজারের রাস্তায় হাঁড়ি ভাঙা হয়। রাস্তার উপরে দু’পাশের খুঁটিতে আড়াআড়ি ভাবে দড়ি বেঁধে দেওয়া হয়। ওই দড়ির মাঝামাঝি জায়গায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয় নকশা করা মাটির হাঁড়ি। হাঁড়িতে থাকে জল, দই, ফল, মিষ্টি, খই ইত্যাদি। বিকেলে কমিটির সদস্যেরা বাদ্যযন্ত্র সহকারে নাচগান করতে করতে আবির উড়িয়ে হাঁড়ি ভাঙতে বেরোন। হাঁড়ির তলায় গিয়ে একে অন্যের কাঁধে উঠে পিরামিড তৈরি করেন। কিছুটা পরে পরে ঝুলিয়ে রাখা হাঁড়িগুলি ভাঙতে ভাঙতে এগোন থাকেন তাঁরা।

তা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন শহরের রাস্তায়। যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশকে। শরৎপল্লি জন্মাষ্টমী কমিটির সদস্যেরা জানান, এ বছর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের রুট বেঁধে দিয়েছে। পাম্পের মোড়, জীবনপুর, করালিমোড় পর্যন্ত অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, হালদার দুর্গামেলা কমিটির সামনে জন্মাষ্টমী কমিটির রুট ছিল পুরাতন বাজার থেকে করতালি মোড় পর্যন্ত। এ দিন দুটি কমিটিই শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠান সেরেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement