Shikara

মুখ ঢেকেছে কচুরিপানায়, শিকারা সফরে উৎসাহ নেই, একলা বড়দিন কাটাল পুরুলিয়ার সাহেববাঁধ

স্থানীয় বাসিন্দা তো বটেই, অনেকের কাছেই চেনা পুরুলিয়ার সাহেববাঁধ। সেই সাহেববাঁধকে সাজিয়েগুছিয়ে অন্যরকম চেহারা দিয়েছিল পুরুলিয়া পুরসভা। কিন্তু সেখানে ভিড় নেই পর্যটকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৫০
Share:

স্তব্ধ সাহেববাঁধে শিকারা সফর। — নিজস্ব চিত্র।

বছর আড়াই আগে পুরুলিয়া পুরসভার উদ্যোগে ধুমধাম করে শিকারা-সফর চালু হয়েছিল পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধে। সাজানোও হয়েছিল আশপাশের এলাকা। এর পর থেকে পর্যটকদের ভিড়ও জমতে শুরু করেছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে দেখা নেই পর্যটকের। বড়দিনেও আক্ষরিক অর্থেই নির্জন রইল সেই সাহেববাঁধ।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দা তো বটেই, অনেকের কাছেই চেনা পুরুলিয়ার সাহেববাঁধ। সেই সাহেববাঁধকে সাজিয়েগুছিয়ে অন্যরকম চেহারা দিয়েছিল পুরুলিয়া পুরসভা। একটি সংস্থার উপর দেওয়া হয়েছিল সাহেববাঁধে পর্যটকদের শিকারা সফরের দায়িত্বও। তার পর অন্যখাতে বইতে শুরু করে সাহেববাঁধের জল। ঝাঁপিয়ে পড়েন আশপাশের পর্যটকরা। কিন্তু সেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে গত কয়েক মাস আগে। ইদানীং নৌকাবিহারের জন্য তেমন ভিড় হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন শিকারা পয়েন্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী অশোককুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।

এখন বিশাল সাহেববাঁধ ভর্তি হয়ে গিয়েছে কচুরিপানায়। সেই কারণেই কি পর্যটকদের অনীহা, এই প্রশ্নের উত্তরে পুরুলিয়া পুরসভার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, ‘‘সাহেববাঁধ নিয়ে নানা জনের নানা মত রয়েছে। কেউ বলছেন কচুরিপানা সরাতে। আবার কেউ বলছেন কচুরিপানা না থাকলে শীতের সময় পরিযায়ী পাখিরা আসবে না। আবার কচুরিপানায় ওই জলাশয় ভর্তি হয়ে গেলে শিকারাও চলবে না।’’ এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই মতো সাহেববাঁধের সংস্কার করা হবে বলেও জানিয়েছেন নবেন্দু।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement