আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ভারত বন্ধ কর্মসূচি। মধুকুন্ডা স্টেশনের কাছে। ছবি: সঙ্গীত নাগ sangeetnag@gmail.com
অ-আদিবাসীদের জনজাতির স্বীকৃতি দেওয়ার চক্রান্তের অভিযোগে ও সারনা ধর্ম কোডের দাবিতে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা ১২ ঘণ্টার ভারত বন্ধে বৃহস্পতিবার আদ্রা ডিভিশনের প্রচুর ট্রেন বাতিল হওয়ায় সমস্যায় পড়লেন পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার মানুষজন। তবে বাস চলেছে বেশির ভাগ রুটেই। চলেছে ছোটগাড়িও। অফিস, বাজারও ছিল স্বাভাবিক।
যদিও আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের ট্রাইবাল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের পুরুলিয়া জ়োনের সভাপতি সুভাষচন্দ্র মান্ডির দাবি, ‘‘বনধে সর্বত্রই ভাল প্রভাব পড়েছে।’’
রেল সূত্রের খবর, রেল লাইনে বন্ধ সমর্থকদের অবরোধের জেরে আদ্রা-আসানসোল ও আদ্রা-মেদিনীপুর শাখায় মোট ২৭টি ট্রেন বাতিল করতে হয়। চারটি ট্রেনকে ঘুরপথে চালানো হয়েছে। চারটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়।
এ দিন সকাল ৬টা থেকে আদ্রা-আসানসোল শাখার মধুকুণ্ডা স্টেশনে সেঙ্গেল অভিযানের পুরুলিয়া জ়োনের সভাপতি গণেশচন্দ্র মুর্মুর নেতৃত্বে প্রায় ২০০ কর্মী-সমর্থক আপ ও ডাউন লাইনে দলীয় পতাকা, ধামসা মাদল, তীরধনুক নিয়ে বসে পড়েন। পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন করা হয় প্রচুর আরপিএফ ও রেল পুলিশ।
পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলার সমস্ত এলাকাতেই দোকানপাট খোলা ছিল। জনজীবনও ছিল স্বাভাবিক। প্রভাব পড়েনি বাস চলাচলেও। পুরুলিয়ার বাস মালিক সমিতি জানিয়েছে, জেলায় ৪৮টি রুটে প্রায় ৪০০টি বাস চলাচল করে। এ দিন ঝাড়গ্রাম ছাড়া অন্যান্য সমস্ত রুটেই সব বাস চলেছে বাঁকুড়া জেলা বাস মালিক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দাবি, দক্ষিণ বাঁকুড়ায় কয়েকটি বাস কম চলাচল করলেও জেলার সর্বত্রই বাস চলেছে। পুরুলিয়ার বাস মালিক সমিতির সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘তীব্র গরমে এমনিতেই যাত্রী কম। বন্ধ ঘোষণা হওয়ায় যাত্রী আরও কম ছিল।’’
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের পুরুলিয়া জ়োনের সভাপতি গণেশচন্দ্র মুর্মু বলেন, ‘‘আমাদের দাবির প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য রেল অবরোধেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল।’’