পুরুলিয়া ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সম্মেলন। নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারের ৯০টির বেশি প্রকল্প নিয়ে নিবিড় প্রচার করবে তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। সংগঠনের পুরুলিয়ার দ্বিতীয় জেলা সম্মেলন থেকে সেই বার্তাই দিলেন নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার পুরুলিয়ার মানভূম স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে সম্মেলন হয়। বক্তারা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে ফের ক্ষমতায় আনতে সদস্যদের আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে জোর দেন।
তবে সংগঠনের একশ্রেণির সদস্য সুবিধা নিতে এসে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করছেন বলে নেতৃত্ব অভিযোগ করেছেন। মঞ্চে নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, এক শ্রেণির সদস্য সুযোগ সুবিধা নিতে ফেডারেশনের সদস্যপদ নিয়েছেন। কিন্তু তলে তলে তাঁরা বিরোধী সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের হয়ে কাজ করছেন। সংগঠনের রাজ্যের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেন, ‘‘ওই কর্মচারীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এই সংগঠনের সদস্যেরাই রাজ্যের উন্নয়নমূলক ও জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলি হাতে-কলমে রূপায়ণের কাজ করেন। সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা
যাতে সাধারণ মানুষ পান, সে দিকে সবাইকে নজর রাখতে বলেন তিনি। দফতরে আসা লোকজনের সঙ্গে সবাইকে ভাল ব্যবহার
করতে বলা হয়।
মহার্ঘ্য ভাতা বা ডিএ প্রসঙ্গে সংঠনের নেতৃত্বের দাবি, ডিএ নিয়ে ক্ষোভ নেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে। বিরোধীরা এটা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাঁদের দাবি, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার পরেও সাধ্য মতো ডিএ দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
তবে বিজেপির জেলা সভাপতি শঙ্কর মাহাতোর কটাক্ষ, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী ও এ রাজ্যের কর্মীদের ডিএ-র ফারাক অনেক। এ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীরা কতটা ক্ষুব্ধ, তা আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনেই টের পাবে শাসকদল।’’
সম্মেলন ৬৩ জনের জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুনরায় জেলা সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সুপ্রিয় দত্ত, সম্পাদক হয়েছেন জগন্নাথ মাহাতো। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া প্রমুখ।