বুধবার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: সুজিত মাহাতো
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আগের দিন, বুধবার সাঁওতাল ও মুন্ডা বিদ্রোহের তিন নায়ক সিধো, কানহো ও বীরসার মূর্তির আবরণ উন্মোচন করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ওই মূর্তি বসানো হয়েছে। এ দিন পার্থবাবু বলেন, ‘‘অনেকদিন ধরে ছাত্রছাত্রী ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে তিন বীরের মূর্তি বসানোর অনুরোধ জানাচ্ছিলেন। এ দিন তা হওয়ায় আমি খুশি।’’ পার্থবাবু জানান, তাঁদের আত্মত্যাগ মানুষ ভোলেনি। এত দিন পরেও তাঁদের স্মরণ করা হচ্ছে। তাঁদের ত্যাগ-আন্দোলনের প্রাসঙ্গিতা আজও সমান।
বীরসার উত্তরসূরী সুখময় মুন্ডা বলেন, ‘‘সিধো-কানহো-বীরসার দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের আত্মত্যাগ কোনও দিন ভোলা যাবে না। তাঁদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। তাঁদের আন্দোলনের মতোই তাঁদের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ও এগিয়ে যাক।’’ আদিবাসী সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, প্রতিমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যেরা।
এ দিন পার্থবাবু বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়কে উৎকর্ষতা বাড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আপনারা নিজেদের মধ্যে বিবাদে না জড়িয়ে কাজ করুন।’’ তবে শিক্ষামন্ত্রী কাদের উদ্দেশে ওই কথা বলেছেন, তা ভাঙেননি। শিক্ষকদের একাংশ দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কারও মধ্যে বিবাদ নেই।
মূর্তির আবরণ উন্মোচনের চিঠিতে সিধো, কানহো ও বীরসার পদবির কেন উল্লেখ নেই, তা নিয়ে কিছু দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তিন নায়কের পদবি উল্লেখ না করে ঠিক করা হয়নি বলে সহকর্মীদের খোলা চিঠি দিয়েছিলেন রসায়নের এক শিক্ষক। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, তাঁরা ওই নামেই খ্যাত। পদবির উল্লেখ না করায় তিন বীরের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করেন না।
২০১০ সালে শুরু হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।