ঠিক সময়ে বেতন চান পঞ্চায়েত কর্মীরা

মাসের শুরুতে বেতন না মেলায় ক্ষোভ ছড়িয়েছিল পঞ্চায়েতকর্মীদের মধ্যে। বুধবার তার বহিঃপ্রকাশ ঘটল।  নগরী, তিলপাড়া, মল্লিকপুর খটঙ্গা, কড়িধ্যা ভূরকুনা, আলুন্দার সচিব, নির্মাণ সহায়ক, এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট সহ অন্য কর্মীদের বক্তব্য,  ‘‘নিয়ম মেনে কাজ করছি। সময়ে বেতন না পেলে সংসার চলবে কী ভাবে। কোন তরফের অবহেলায় এমন কাণ্ড ঘটল, কেন ঘটল তার বিহিত চাই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি ও আমোদপুর শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০১:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি

অন্য মাসে মাস পয়লায় বেতন ঢোকে। কিন্তু মার্চ মাসের ৬ তারিখ হয়ে গেলেও বীরভূমে বহু পঞ্চায়েতকর্মীর বেতন হয়নি। কবে হবে বেতন, তা নিয়েও কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না পঞ্চায়েত দফতর ও প্রশাসন। কেন নিয়ম মেনে কাজ করেও সরকারি কর্মী হিসেবে মাস পয়লায় বেতন পেলেন না, তার বিহিত চেয়ে বুধবার আন্দোলনে নামলেন সিউড়ি ১ ব্লকের সব পঞ্চায়েতকর্মীরা। বিডিওর মাধ্যমে জেলাশাসকের কাছে দাবিপত্রও পেশ করেছেন।

Advertisement

মাসের শুরুতে বেতন না মেলায় ক্ষোভ ছড়িয়েছিল পঞ্চায়েতকর্মীদের মধ্যে। বুধবার তার বহিঃপ্রকাশ ঘটল। নগরী, তিলপাড়া, মল্লিকপুর খটঙ্গা, কড়িধ্যা ভূরকুনা, আলুন্দার সচিব, নির্মাণ সহায়ক, এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট সহ অন্য কর্মীদের বক্তব্য, ‘‘নিয়ম মেনে কাজ করছি। সময়ে বেতন না পেলে সংসার চলবে কী ভাবে। কোন তরফের অবহেলায় এমন কাণ্ড ঘটল, কেন ঘটল তার বিহিত চাই।’’ একই দাবিতে বিডিও অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন সাঁইথিয়া ব্লকের পঞ্চায়েতকর্মীরাও। ভ্রমরকোল পঞ্চায়েতের সচিব শেখ আব্দুল মজিদ দাবি করেন, রাজ্যের বহুমুখী উন্নয়নে পঞ্চায়েতকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। অথচ তাঁদের বেতন নিয়েই টালবাহানা চলছে।

ঘটনার সত্যতা মেনেছেন জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রমোন্নয়ন আধিকারিক গোবিন্দ হালদার। তিনি বলেন, ‘‘বরাদ্দ না মেলায় বেতন পাননি কর্মীরা।’’ কিন্তু কবে বেতন মিলবে বা কেন বরাদ্দ এল না সে বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি ওই আধিকারিক।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যা মেটানেোর চেষ্টা চলছে। তবে চলতি মাসে সময়ে বেতন না পাওয়ার সমস্যা শুধু বীরভূমের পঞ্চায়েতগুলিতে সীমিত নয়, একই সমস্য হয়েছে মালদহ, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে। রাজ্যের পঞ্চায়েতকর্মীদের বেতন সুনিশ্চিত করতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে পঞ্চায়েত কর্মী সংগঠন। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। তার পরেও সঙ্কট কাটেনি।

পঞ্চায়েত ও গ্রমোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চায়েত দফতরের কমিশনার জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন, জেলার ট্রেজারি অফিসারেরা যেন এবার অনুমানের ভিত্তিতে কর্মচারীদের বেতনের টাকা ছেড়ে দেন। অন্য দিকে অর্থ দফতরের অধীন ট্রেজারির যুগ্ম আধিকারিক এর পরেই জেলার ট্রেজারিগুলিকে জানিয়ে দেন, কোনও ভাবেই বরাদ্দ ছাড়া কোনও টাকা ছাড়া যাবে না। প্রশাসনিক আধিকারিকদের একাংশের বক্তব্য, ‘‘পঞ্চায়েত কর্মীদের নেগেটিভ ব্যালান্সে বেতন দেওয়ার নিয়ম নয়। তাই বরাদ্দ না মেলায় সমস্যা রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement