Visva Bharati University

বিদ্যুতের কার্যকালে ‘অবিচার’, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি শিক্ষাবিদদের

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে জমি-বিতর্কে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া তথা ছাত্রনেতা সোমনাথ সৌয়ের সাসপেন্ড হওয়ার প্রসঙ্গও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৮:০৬
Share:

উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।

বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কার্যকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের প্রতি ‘উপর্যুপরি অবিচার’ হয়েছে— এই ভাষাতেই দেশ-বিদেশের ২৬০ জন শিক্ষাবিদ সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে।

Advertisement

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে জমি-বিতর্কে অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া তথা ছাত্রনেতা সোমনাথ সৌয়ের সাসপেন্ড হওয়ার প্রসঙ্গও। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন কানাডার সাইমন ফ্রেজ়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন হ্যারিস, ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস বয়েস, জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক অমিত ভাদুড়ি, প্রভাত পট্টনায়েক, উৎসা পট্টনায়েক। তাঁরা এ-ও দাবি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্যের সময়কালে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মীদের প্রতি বারবার অবিচার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত বিশ্বভারতীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

বিশ্বভারতীর শ্রীনিকেতনের ‘জীবনব্যাপী শিক্ষা ও সম্প্রসারণ’ বিভাগের স্নাতকোত্তরের পড়ুয়া সোমনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ পরিচিত মুখ। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্যের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন তিনি। এর জেরে তাঁকে বহিষ্কৃত হতে হয় বিশ্বভারতী থেকে। পরে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে পুনরায় ভর্তির সুযোগ পান। সম্প্রতি জমি-বিতর্কে অম্রত্য সেনের পক্ষে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন সোমনাথ। তাতে লেখেন, ‘অধ্যাপক অমর্ত্য সেনকে দেওয়া জমির লিজ় নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ যা করছে, তা এক প্রকার অসভ্যতা। যারাই অসভ্যতায় মদত দিচ্ছেন, তারা খুব ভাল ভাবেই জানেন যে, এটা অমর্ত্য সেনকে হেনস্থা করা ছাড়া আর কিছুই না।’ ওই মন্তব্যের জন্য সোমনাথকে প্রথমে শো-কজ় এবং পরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাভঙ্গ করার অভিযোগে তৃতীয় সিমেস্টারের পরীক্ষা ও ক্লাস থেকে সাসপেন্ড করা হয়।

Advertisement

রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেন শিক্ষাবিদেরা। তাঁরা লেখেন, ‘‘সোমনাথের নামে কোনও অভিযোগপত্র জমা না পড়া সত্ত্বেও তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। চার্জশিট-ও দেওয়া হয়নি।.... উপর্যুপরি শাস্তি পেয়ে সোমনাথকে বারবার আদালতের দরজায় কড়া নাড়তে হয়েছে।’’

বিশ্বভারতীর শিক্ষক সংগঠন ভিবিইউএফএ-র সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, “এই উপাচার্যের একের পর এক কার্যকলাপে বিধ্বস্ত বিশ্বভারতী। আমরা আশা করছি, রাষ্ট্রপতি এই উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ আর বৃদ্ধি করবেন না।’’ সোমনাথের মন্তব্য, “বিখ্যাত শিক্ষাবিদেরা যে ভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে আমি খুশি। আমার পাশে থাকার যে বার্তা ওঁরা দিয়েছেন, তা ভবিষ্যতের লড়াইয়ে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement