ভোটের আগে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে পাত্রসায়রে। এ বার বিরোধী দলের পতাকা, ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় পাত্রসায়রের কাকাটিয়া গ্রামে সিপিএমের পার্টি অফিসের তালা ভাঙা ও পতাকা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। তার রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার পাত্রসায়রের বিউর-বেতুড় পঞ্চায়েতের নলডাঙা এলাকায় টাঙানো বেশ কয়েকটি সিপিএমের পতাকা ও ফেস্টুন ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সিপিএমের তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সিপিএমের পাত্রসায়র জোনাল কমিটির আহ্বায়ক তথা জেলা কমিটির সদস্য লালমোহন গোস্বামী বলেন, “ভোটের প্রচারের আগে নলডাঙা গ্রামে আমাদের দলের পতাকা ও ফেস্টুন টাঙিয়েছিলেন এলাকার কর্মীরা। সোমবার তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সেই সব পতাকা ছিঁড়ে ফেলেছে।’’ তাঁর দাবি, মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারলে পাত্রসায়র ব্লকের ১০ টি পঞ্চায়েতেই তৃণমূল হারবে। সেই কারণেই এলাকায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ স্তব্ধ করে দিতে তৃণমূলের ভৈরববাহিনী সিপিএমের পার্টি অফিসের তালা ভেঙে বা পতাকা-ফেস্টুন ছিঁড়ে নিজেদের ক্ষমতার আস্ফালন দেখাতে শুরু করেছে। তাঁর আরও অভিযোগ, “কাকাটিয়া গ্রামের ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। উল্টে তৃণমূল ওই গ্রামে আমাদের দলের কর্মী-সমর্থক দিনমজুরদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। শত অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’’ নলডাঙা যে বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, সেই ইন্দাসের তৃণমূল প্রার্থী গুরুপদ মেটে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “সিপিএমের লোকেরা ওখানে পতাকা টাঙিয়েছিল বলে আমার জানা নেই। ভোট আসছে। সিপিএম এখন অনেক মনগড়া অভিযোগ করবে।’’ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।