উন্নয়নের স্বার্থে সরছেন বিরোধী প্রার্থীরা: তৃণমূল

রামপুরহাট মহকুমার ১৮টি জেলা পরিষদ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিল তৃণমূল। শুক্রবার রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তিন প্রার্থী। তাঁদের এক জন ফরওয়ার্ড ব্লকের, এক জন বিজেপির অন্য জন সিপিএমের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৮ ১৭:২৩
Share:

রামপুরহাট মহকুমার ১৮টি জেলা পরিষদ আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নিল তৃণমূল। শুক্রবার রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তিন প্রার্থী। তাঁদের এক জন ফরওয়ার্ড ব্লকের, এক জন বিজেপির অন্য জন সিপিএমের।

Advertisement

ওই তিন দলের নেতৃত্ব অবশ্য আগেই দাবি করেছিলেন, মনোনয়ন জমা দেওয়ার অতিরিক্ত দিন বিরোধী দলের নামে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ছক কষেছিল তৃণমূলই। বিরোধীদের বক্তব্য, ‘সাজানো’ ওই প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার তাই শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, ‘‘দুর্বত্তের ছলের অভাব হয় না। তৃণমূলও ছল ভালই জানে।’’

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম পর্বে বীরভূম জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের মধ্যে রামপুরহাট মহকুমার ১৮টিতে তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন জমা পড়েনি।

Advertisement

জেলা পরিষদের বিদায়ী সিপিএম সদস্য খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রথম পর্বে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিতে দু’দিন চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বাধায় তা সম্ভব হয়নি।’’ এসইউসির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আয়েষা খাতুনের অভিযোগ একই। তাঁর বক্তব্য, তাঁদের দলের প্রার্থীদের মহকুমাশাসকের কার্যালয় থেকে বের করে দিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরা।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার দ্বিতীয় পর্বে জেলা পরিষদের ৪২টি আসনের মধ্যে ১০টি মনোনয়ন বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিআইএম, ফরওয়ার্ড ব্লক ও নির্দল প্রার্থীর নামে জমা পড়েছিল। রামপুরহাট মহকুমাশাসকের অফিসে জমা পড়ে ৮টি মনোনয়ন। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস এবং নির্দল ২ জন করে প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়ে। বিরোধীরা জানিয়েছিল, ওই সব ‘ভুতুড়ে’ মনোনয়ন। শুক্রবার দ্বিতীয় পর্বের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ওই ৮টিই প্রত্যাহার করা হয়। তৃণমূলের রামপুরহাট মহকুমা পর্যবেক্ষক ত্রিদিব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিরোধীরা প্রার্থীরা বুঝতে পেরে উন্নয়নের স্বার্থে নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement