প্রতীকী ছবি।
ভোটার তালিকায় নাম তোলার আর এক দফা সুযোগ মিলছে।
নির্বাচন কমিশন চায়, ১৮ বছরের উর্ধ্বে সবার নাম ভোটার তালিকায় উঠুক। কিন্তু কয়েকটি রাজ্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন বিশেষ জমা পড়ছে না। সেখানে ফের তালিকায় নাম তোলার জন্য অভিযান শুরু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে এ রাজ্যও।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বরের ১৫ থেকে ৩০ তারিখ অভিযান চলবে। ঠিক কী পথ নির্দেশ দিয়েছে কমিশন, সেটা জানাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে সম্প্রতি সিউড়ি প্রশাসনিক ভবনে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) উমাশঙ্কর এস এবং ওসি ইলেকশন সৈকত হাজরা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ অগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। সেই দিন থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম তোলা, সংশোধন, বিয়োজন করার সুযোগ ছিল। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, বীরভূম এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। প্রশংসিতও হয়েছে। কমিশনের নতুন নির্দেশের ফলে সেই কাজ আরও নিঁখুত করে তোলার সুযোগ মিলল বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা।
কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি যাঁদের বয়স ১৮ বছর হবে, তাঁরা ফের এক বার নাম তোলার সুযোগ পাবেন। সেটা করতে হবে চলতি মাসের ১৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে। চলতি মাসের ১৯ এবং ২৬ তারিখ বিশেষ অভিযান চালানো হবে। ওই দিনগুলিতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বুথ লেভেল অফিসারেরা বুথে বুথে বসবেন। অভিযানের সময়ে সেখানে থাকতে পারবেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং বুথ এজেন্টরা। অভিযান সফল করতে তাঁদের সক্রিয় যোগদানের জন্যই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জানানো হয়েছে, ওই দিনগুলিতে নাম তোলার নতুন আবেদন ছাড়াও ভোটার তালিকায় সংশোধন ও বিয়োজনও আবেদনও গ্রহণ করা হবে।
শুধু এই নয়! অ্যাপের মাধ্যমে অন স্পট নাম তোলানোর ব্যবস্থা থাকছে। নির্বাচন কমিশনের অ্যাপের নাম ‘বিএওনেট’। ওই অ্যাপ এমনিতে পাওয়া যায় না। ওসি ইলেকশন তথা জেলা যুবকল্যাণ আধিকারিক সৈকত হাজারা জানান, সরকার কিছু বিএলও-র মোবাইলে (যাঁদের নিজেদের স্মার্টফোন ডেটা প্রসেসের জন্য যথার্থ) ওই অ্যাপ ইন্সটল করে দেবে। সেই ফোনে আবেদনের তথ্য দিলে সেটা সরাসরি জমা পড়ে যাবে। কাগজ কলমের দরকার পড়বে না। এর ফলে পুরো প্রক্রিয়া সহজ এবং দ্রুত হবে বলে সরকারি আধিকারিকেরা দাবি করছেন। তাঁদের মতে এই প্রক্রিয়ায় ভোটার কার্ডে কাগজ দেখে কম্পিউটারে লেখার সময়ে যে সমস্ত ভুল হয়ে যায়, সেটাও এড়ানো যাবে।
সৈকতবাবু বলেন, ‘‘আমাদের ১১টি বিধানসভা এলাকার মধ্যে বোলপুরে পুরো বিষয়টি অ্যাপের মাধ্যমে করার নির্দেশ রয়েছে কমিশনের। কমিশনেরই ওই বিধানসভা এলাকার ২৭৯ জন বিএলও-কে স্মার্টফোন দেওয়ার কথা।’’ জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, বোলপুর ছাড়াও প্রতি বিধানসভা এলাকায় অন্তত ১০-১২ জন ইচ্ছুক বিএলও-কে অ্যাপ দিয়ে এই কাজে লাগানোর ভাবনা রয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।