ভূপতিত। নিজস্ব চিত্র
টান দিতেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল জরাজীর্ণ ট্যাঙ্ক। প্রায় এক দশকের দুঃশ্চিন্তা মিটতে মঙ্গলবার বিকেলে অবশেষে হাঁপ ছাড়লেন পুরুলিয়ার মানবাজারের বালুডির বাসিন্দারা।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সত্তরের দশকে মানবাজার ১ ব্লকের বলুডি গ্রামে নলবাহিত জল সরবরাহের জন্য ওভারহেড ট্যাঙ্কটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন মেরামতির অভাবে জীর্ণ হয়ে পড়েছিল সেটি। পরিদর্শনের পরে, ২০১২ সালে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর ট্যাঙ্কটি বাতিল বলে ঘোষণা করে। কিন্তু আর কোনও পদক্ষেপ চোখে পড়ছিল না।
বাসিন্দাদের অনেকেই অভিযোগ ছিল জোরে হাওয়া দিলে ট্যাঙ্ক থেকে সিমেন্টের চাঙড়, পাথর, লোহার টুকরো খসে পড়ত। এ ভাবে জখম হয়েছে কিছু গবাদিপশু। নীচে বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার থাকায় ট্যাঙ্ক ভাঙা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিল জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। সম্প্রতি ট্রান্সফর্মারটি সরানো হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে বালুডি গ্রামে যান। ট্যাঙ্কের চার দিকে প্রায় একশো মিটার এলাকা ঘিরে মোতায়েন ছিল পুলিশ। বাসিন্দাদের বলা হয়েছিল, কিছুক্ষণের জন্য বাড়ির বাইরে না আসতে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের এক আধিকারিক জানান, ট্যাঙ্কের সব থেকে নড়বড়ে থামে মোটা তার পেঁচিয়ে যন্ত্র দিয়ে কয়েকবার হ্যাঁচকা টান দেওয়া হয়। দুলে উঠে বিকট শব্দে পুরোটা হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে।
বিডিও (মানবাজার ১) নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘‘ওখানে নতুন করে ট্যাঙ্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নেই। জাইকা প্রকল্পে মানবাজার ১ ব্লক এলাকায় কয়েকটি ওভারহেড ট্যাঙ্ক নির্মাণ হবে। তার মধ্যে কয়েকটি জায়গায় সীমানা পাঁচিলের কাজ শেষের মুখে।’’