অ্যাম্বুল্যান্স দুর্ঘটনায় মৃত্যু বৃদ্ধের, জখম পাঁচ

ঘটনার পরে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বাঁকুড়া মেডিক্যালে ময়না-তদন্তের পরে জলধরবাবুর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৬
Share:

সেই অ্যাম্বুল্যান্স। নিজস্ব চিত্র

হুড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পুত্রবধূকে রেফার করা হয়েছিল বাঁকুড়া মেডিক্যালে। অ্যাম্বুল্যান্সে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বৃদ্ধের। শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া-বাঁকুড়া (৬০-এ) জাতীয় সড়কে, বাঁকুড়া সদর থানার কুমিদ্যা সংলগ্ন এলাকায়। মৃত জলধর মণ্ডল (৬৫) হুড়ার ঢাঙাগোড়া এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালক-সহ পাঁচ জন। বাঁকুড়া মেডিক্যালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

Advertisement

মৃতের ছোট ছেলে অনুপকুমার মণ্ডল জানান, অ্যাম্বুল্যান্সে জলধরবাবু ছাড়াও ছিলেন তাঁর বড় ছেলে শঙ্কর মণ্ডল, পুত্রবধূ মোহিনী, শঙ্করের বছর চারেকের মেয়ে গায়ত্রী ও জলধরবাবুর ভাইয়ের স্ত্রী লক্ষ্মী মণ্ডল। অনুপবাবু বলেন, “বৌদি পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। শুক্রবার রাতে তাঁকে হুড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে রেফার করা হয়।’’ তিনি জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকেই একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে মোহিনীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুমিদ্যার কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। পুলিশের দাবি, ট্রাকটি দাঁড়িয়েছিল। ভোরে বাঁকুড়া মেডিক্যাল থেকে এক আত্মীয় ফোন করে অনুপবাবুকে দুর্ঘটনার খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। বাঁকুড়া মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্কর ও মোহিনীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

ঘটনার পরে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বাঁকুড়া মেডিক্যালে ময়না-তদন্তের পরে জলধরবাবুর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement