নজর প্রতি পঞ্চায়েতে

শনিবার পুরুলিয়ার রবীন্দ্রভবনে সেই নোডাল অফিসার-সহ ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে কর্মশালা করলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০১:২৩
Share:

রবীন্দ্রভবনে। নিজস্ব চিত্র

পুরুলিয়া জেলার অনগ্রসর গ্রামগুলিতে উন্নয়নকে পাখির চোখ করে ঘুরছেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। জেলাশাসকের নির্দেশে সেই কাজে নেমেছেন ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। এ বার সমস্ত পঞ্চায়েতেই যাতে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম-সহ সরকারি পরিষেবা দেওয়ার কাজ আরও নিখুঁত ভাবে করা হয় সে জন্য ১৭০টি পঞ্চায়েতেই নোডাল অফিসার নিয়োগ করল জেলা প্রশাসন।

Advertisement

শনিবার পুরুলিয়ার রবীন্দ্রভবনে সেই নোডাল অফিসার-সহ ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে কর্মশালা করলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। কী ভাবে ওই নোডাল অফিসারেরা পঞ্চায়েতে কাজ করবেন, সেই বিষয়ে বিশদে জানানো হয়। জেলাশাসক জানাচ্ছেন, একই সঙ্গে আগামী এক মাসে পঞ্চায়েতগুলিতে জেলা প্রশাসন ঠিক কী ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করতে চাইছে, তার তালিকাও তৈরি করে নোডাল অফিসারদের দেওয়া হয়েছে। পরের মাসে সেই তালিকা ধরে পর্যালোচনা করা হবে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে থেকে পঞ্চায়েত পিছু এক জন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতে যাবেন তাঁরা। বুধবার তাঁরা ফিরে এসে পঞ্চায়েতের সমস্যা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন বিডিওদের সঙ্গে। সেখান থেকে সংগৃহীত তথ্য ও সমস্যা অনুযায়ী ওই পঞ্চায়েত এলাকায় যাবেন বিডিওরা।

Advertisement

কেন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হল প্রশাসনকে? জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানাচ্ছেন, তাঁরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন বটে, কিন্তু জেলার সমস্ত পঞ্চায়েতেরই প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছনো সম্ভব নয়। ফলে সেখানকার সমস্যার সমাধানও করা যাবে না শীর্ষ কর্তাদের পক্ষে। এ দিকে আবার পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়ন ও সরকারি পরিষেবার কাজ সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন না হলে সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই প্রতি পঞ্চায়েতে নজরদারির জন্য এক জন করে নোডাল অফিসার নিয়োগ করে একেবারে তৃণমূল স্তরের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাইছে প্রশাসন।

কী করবেন নোডল অফিসারেরা? জেলাশাসক জানাচ্ছেন, তাঁরা এ দিন নোডাল অফিসারদের কাজ ও লক্ষ্য দু’টি বিষয়েই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘মূলত চারটি কাজ নোডাল অফিসারদের করতে বলা হয়েছে। প্রথমত, তৃণমূল স্তরে সরকারি পরিষেবা ঠিক ভাবে পৌঁছে দেওয়া। দ্বিতীয়ত, তৃণমূল স্তরে মানুষকে জানানো তাঁদের কী ধরনের সরকারি পরিষেবা পাওয়ার অধিকার আছে। তৃতীয়ত, স্বচ্ছতা মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা। চতুর্থত, যে সমস্যাগুলি নোডাল অফিসারেরা শুনছেন, তা দ্রুত সমাধান করা। সমাধান তাঁর পক্ষে সম্ভব না হলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।’’ সে কারণে তাঁদের একশো দিনের শ্রমিক, স্বনির্ভর দলের সদস্য ও স্কুলের কন্যাশ্রীদের কাছে বেশি করে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন জেলাশাসক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement