সিউড়ির টিনবাজারে এনফোর্সমেন্ট বিভাগের আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহখানেক ধরে বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আদা, আলুর দামও বেড়েছে বেশ খানিকটা। আসন্ন কালীপুজো ও ভাইফোঁটার সময় ফলের দামও বেশ কিছুটা বেশি থাকে। এই দাম বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার সকালে সিউড়ির একাধিক আনাজ ও ফলের বাজারে হানা দিলেন জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (ডিইবি) আধিকারিকরা।
ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়পক্ষের সঙ্গেই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলার পাশাপাশি কোথাও কোনও অবৈধ মজুতদারি হচ্ছে কি না অথবা অসাধু উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকেরা। ডিইবি সূত্রে জানা গিয়েছে, কোনও রকম অসাধু পথ না-নেওয়ার বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে।
এ দিন সকালে প্রথমে জাতীয় সড়ক ঘেঁষা আনাজের গুদামঘরে যান ডিইবি আধিকারিকেরা৷ সেখানে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত আনাজ মজুত করা আছে কি না, খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এর পরে একে একে শহরের এসপি মোড়, কোর্ট বাজার, টিনবাজার ও হাটজনবাজারের আনাজ বাজারগুলিতে হানা দেওয়া হয়।
সিউড়িতে অবশ্য এ দিন দাম কিছুটা কমে আলাদা আলাদা বাজারে পেঁয়াজ ৪৫-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, আদা ১০০-১৩০ টাকা কেজি এবং আলু ১২-১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে৷ ডিইবি আধিকারিকরা জানান, জোগান কম থাকার কারণেই এই মূল্যবৃদ্ধি। টিনবাজারের এক আনাজ বিক্রেতা দিলীপ কুমার দাস বলেন, “ওই আধিকারিকেরা মূলত পেঁয়াজ, আদা আর আলুর দাম জিজ্ঞেস করেছেন। পাইকারি বাজার থেকে আমরা কত দামে কিনছি এবং খুচরো বাজারে কত দামে বিক্রি করছি, তা-ও জানতে চান। বাজার দরের থেকে যাতে বেশি দামে জিনিস বিক্রি না করি, সেই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।’’ দিলীপ জানান, তাঁরা ডিইবিকে বলেছেন, দাম বাড়ার ক্ষেত্রে তাঁদের কোনও হাত নেই। বরং দাম বাড়লে বিক্রি তুলনামূলক কমে যাওয়ায় লোকসানই হয়।
এ দিন বাজার করতে আসা সন্দীপ ঘোষ বলেন, “পেঁয়াজ, আদার দাম আগের থেকে বেড়েছে। কেউ কেউ অতিরিক্ত দামও নিচ্ছেন। এই ধরনের পরিদর্শন মাঝে মাঝে হলে নিশ্চয়ই দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।” ডিএসপি (ডিইবি) স্বপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, “উৎসবের মরশুমে আনাজ ও ফলের দাম হঠাৎ হঠাৎ অপ্রয়োজনও বৃদ্ধি পায়। তেমন কোনও ঘটনা এ বছর ঘটছে কি না, তা খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন। সিউড়ির পাশাপাশি জেলার অন্যত্রও অভিযান চলবে।’’