মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে অনাস্থায় হারিয়ে সভাপতি হয়েছেন শাসক দলে যোগ দেওয়া সিপিএমের ফিরদৌসি বেগম। এ বার সমিতির ক্ষুদ্র শিল্প, বিদ্যুৎ ও অচিরাচরিত শক্তির কর্মাধ্যক্ষ মদন মুর্মু, খাদ্য ও সরবরাহ কর্মাধ্যক্ষ পবিত্র দাস এবং বন ও ভূমি সংস্কার কর্মাধ্যক্ষ গোলাম মর্তুজা খলিফার বিরুদ্ধে মহকুমাশাসকের কাছে অনাস্থা আনল স্থায়ী সমিতির সদস্যরা। সদর এসডিও অরুন্ধতি ভৌমিক বলেন, ‘‘গত ৮ তারিখ অনাস্থা পত্র পেয়েছি। এ ব্যাপারে নিয়ম মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার প্রতিনিধি হিসাবে মহম্মদবাজারের বিডিওকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, ২৮ আসন বিশিষ্ট মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতিতে বামফ্রন্ট ২০টি, তৃণমূল ৭টি ও আদিবাসী গাঁওতা একটি আসন দখল করে। সভাপতি হন সিপিএমের মাধবী বাগদি। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই সমিতি দখলে কোমর বেধে নেমে পড়ে শাসকদল। কিছুদিন আগে বামফ্রন্টের দশ সদস্যকে ভাঙিয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। ভোটাভুটির দিন বিরোধীরা উপস্থিত না থাকায় ১৭-০ ব্যবধানে অনাস্থায় জিতে যায় শাসক দল। নতুন সভাপতি করা হয় সিপিএম থেকে আসা ফিরদৌসি বেগমকে। সমিতি সূত্রের খবর, আগের বোর্ডের যে কর্মধ্যক্ষরা এখনও বামফ্রন্টেই রয়ে গেছেন, এ বার তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হবে। না হলে কাজের ক্ষেত্রে নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রথম ধাপে মদন মুর্মূ, পবিত্র দাস ও গোলাম মর্তুজা খলিফার বিরুদ্ধে গত ৮ তারিখ অনাস্থা আনা হয়। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রায় একই অভিযোগ করা হয়েছে।
সিপিএমের মহম্মদবাজার জোনাল কমিটির সম্পাদক প্রভাষ মাল বলেন, ‘‘শাসক দলটা দুর্নীতিতে ভরা। গণতন্ত্রকে হত্যা করে বিরোধীদের দখলে থাকা ত্রিস্তর পঞ্চায়েত থেকে পুরসভা একের পর এক দখল করে নেওয়া হচ্ছে। এর চেয়ে বড় দুর্নীতি আর কিছু হতে পারে না।’’ তৃণমূলের যুগ্ম সভাপতি তাপস সিংহ ও গৌতম মণ্ডলরা জানান, সিপিএমের মুখে গণতন্ত্র শব্দটা মানায় না। বরঞ্চ গণতন্ত্র ও সংবিধান মেনে বিরোধী সদস্যরা উন্নয়নের স্বার্থে শাসক দলে যোগ দিয়েছেন। মহম্মদবাজারের বিডিও তারাশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘বুধবার অনাস্থার ভোটাভুটি হবে।’’