বিতর্কিত ফলক সরিয়ে নতুন ফলক বসানো হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। — নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশেষে নতুন ফলক বসানো হল। পুরনো বিতর্কিত ফলকটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তার জায়গায় বুধবার রাতে বসেছে নতুন ফলক। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের পরামর্শ অনুযায়ী এই ফলক তৈরি করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্বভারতীকে বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র বা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সেই স্বীকৃতির একটি ফলক নির্মাণ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যাতে প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথের নাম কোথাও ছিল না। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের নেতানেত্রীরা বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ফলক প্রসঙ্গে আক্রমণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কড়া সমালোচনা করেন। তাঁর নির্দেশে বীরভূম জেলা তৃণমূলের তরফে ফলক সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয় শান্তিনিকেতনে। পরে বিজেপি নেতৃত্বও রবীন্দ্রনাথের নাম বাদ দেওয়ার সমালোচনা করেছেন। এর মাঝে উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুতের মেয়াদ শেষ হয়েছে। নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। ফলক বিতর্কে তার পরেই হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
পুরনো ফলকটির বিরোধিতা করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্রছাত্রী, প্রাক্তনী, আবাসিক, আশ্রমিক এমনকি অধ্যাপকেরাও। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের চিঠিতে জানানো হয়েছিল, নতুন ফলকে কী লেখা থাকবে।
নতুন ফলকে আচার্য বা উপাচার্যের নাম রাখার কথা বলেনি কেন্দ্র। তবে রবি ঠাকুরের নাম রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্বভারতীকে ‘বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে নতুন ফলকে। বাংলা, হিন্দি এবং ইংরাজি— তিন ভাষাতেই রয়েছে প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
এ প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অশোক মাহাত বলেন, ‘‘নতুন ফলক বসানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মেনে। পুরনোটি খুলে ফেলা হয়েছে।’’