প্রতীকী ছবি
নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলায় নিভৃতবাসে পাঠানো হচ্ছে, লালারসের নমুনা নেওয়া হচ্ছে তাঁর সংস্পর্শে আসা বাসিন্দাদের। কিন্তু আগের আক্রান্তের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন সপ্তাহ পেরোলেও তাঁদের রিপোর্ট না আসায় চিন্তা বাড়ছে বোলপুরে।
বোলপুরের বাহিরি পাঁচশোয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এক গ্রামের এক প্রৌঢ়ের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবর আসে শনিবার রাতে। বেশ কিছুদিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা লাগার সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তাঁর এক ছেলে সেনায় কাজ করার সুবাদে বুধবার তাঁকে গ্রাম থেকে এনে কলকাতার মিলিটারি কমান্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিজনেরা। সেখানেই তাঁর করোনা পরীক্ষা হয়।
শনিবার বিকেলে রিপোর্ট পজিটিভ এলে তড়িঘড়ি সে খবর জানানো হয় জেলা প্রশাসনকে। বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের বিডিও শেখর সাঁই বলেন, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় খবর পাওয়া মাত্র রবিবার আমরা ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা ১৮ জনকে সরকারি নিভৃতবাস কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। প্রত্যেকেরই লালারসের নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’’
তবে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেরিতে আসাও উদ্বেগ বাড়িয়েছে। বোলপুর হাসপাতালে ডায়ালিসিস করতে আসা এক রোগীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় নিভৃতবাসে যেতে হয় ডায়ালিসিস ইউনিটের সব টেকনিশিয়ানকে। তার জেরে কয়েকদিনের জন্য বন্ধও ছিল ডায়ালিসিস পরিষেবা।
ওই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা ৭১ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য কলকাতার নাইসেডে পাঠানো হয় ১৭ মে। কিন্তু তার মধ্যে এখনও মাত্র ১৫ জনের রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। তাঁদের সকলেরই রিপোর্টই অবশ্য নেগেটিভ। তবে বাকিদের রিপোর্ট না আসার ফলে তাঁদের মধ্যে যদি কারও সংক্রমণ ঘটে, তাহলে তা অনেক জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার একটি আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। রিপোর্ট দু-একদিনের মধ্যে এলে সেই আশঙ্কা কমে বলে তাঁদের মত। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার দীপ্তেন্দু দত্ত বলেন, ‘‘৭১ জনের মধ্যে আসা ১৫ জনের রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্ট এখনও আসেনি বলে কিছুটা হলেও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে।’’