প্রকাশ্যে ধূমপান রুখতে ব্যবস্থা, তৈরি কমিটি

জেলার জনবহুল এলাকাগুলিকে এ বার ধূমপান মুক্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ধূমপান মুক্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করাই নয়, এর সঙ্গে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার, প্রদর্শন বা বিজ্ঞাপন বিধি মেনে হচ্ছে কি না তার উপরেও জেলা থেকে ব্লকস্তর পর্যন্ত নজরদারি চালাবে প্রশাসনের বিভিন্ন কমিটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৩৮
Share:

জেলার জনবহুল এলাকাগুলিকে এ বার ধূমপান মুক্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু ধূমপান মুক্ত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করাই নয়, এর সঙ্গে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার, প্রদর্শন বা বিজ্ঞাপন বিধি মেনে হচ্ছে কি না তার উপরেও জেলা থেকে ব্লকস্তর পর্যন্ত নজরদারি চালাবে প্রশাসনের বিভিন্ন কমিটি। পাশাপাশি ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকারক দিকগুলি নিয়েও প্রচার চালানো এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার কাজ শুরু করা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। এ সব নিয়ে সোমবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মশালায় আলোচনা হয়েছে। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘মানুষজনের মধ্যে যেমন ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের ক্ষতিকারক দিকগুলি তুলে ধরে প্রচার করা হবে, তেমনি কেন্দ্রীয় সরকারের ২০০৩ সালের তামাক বিরোধী আইনে প্রকাশ্য স্থানে বা জনবহুল জায়গায় ধূমপানের জন্য যে জরিমানার কথা বলা রয়েছে তাও প্রয়োগ করা হবে।’’ তিনি জানান, একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় জেলায় শীঘ্রই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে। জনবহুল স্থান বলতে যেখানে সাধারন মানুষ যেতে পারেন যেমন হাসপাতাল, প্রেক্ষাগৃহ, বাজার, স্টেশন, প্রতীক্ষালয়, কোনও অফিস, পাঠাগার, বিদ্যালয় বা শিক্ষায়তন—এ ধরনের যে কোনও জায়গাই হতে পারে। এ ধরনের জায়গায় ধূমপান নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।

Advertisement

দ্রুত এই কর্মসূচি রূপায়ণের লক্ষ্যে সোমবার হওয়া কর্মশালায় জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরাও উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, জেলা স্তরে দু’টি কমিটিও এ দিন গঠন করা হয়েছে। দু’টি কমিটিরই মাথায় রয়েছেন জেলাশাসক। শীঘ্রই ব্লক স্তরের সমন্বয় কমিটিগুলিও জেলার ২০টি ব্লকে গড়ে তোলা হবে। জেলাস্তরের কমিটিতে যেমন জেলাশাসকের পাশাপাশি পুলিশ সুপার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, আবগারি দফতর, শ্রম দফতর, পরিবহণ দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা থাকবেন। ব্লকস্তরের কমিটিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি সঙ্গে বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি, বিডিও, বিএমওএইচ-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা থাকবেন। তামাক আইন মোতাবেক বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক, পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর-সহ স্বাস্থ্য দফতরের নোডাল অফিসারের জরিমানা করার অধিকার থাকবে। শীঘ্রই এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ কী করবেন তা বিজ্ঞাপন দেওয়ার পাশাপাশি পোস্টার লাগানো, প্রচারপত্র বিলি করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement