উদ্বোধনের পরে নতুন বাজার। —নিজস্ব চিত্র।
আধুনিক মাছ বাজারের উদ্বোধন হল বোলপুরে। রবিবার দুপুরে স্থানীয় হাটতলায় বাজারটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই বাজারে প্রাথমিক ভাবে এলাকার ৩৮ জন মাছ ব্যবসায়ীকে বসার জায়গা দেওয়া হয়েছে।
শুধু ক্রেতা বা বিক্রেতারাই নয়। বোলপুরের হাটতলার উপর দিয়ে আসা-যাওয়া করা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ছিল দীর্ঘ দিনের। কখন যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হত। আবার নোংরা, আবর্জনার মধ্যে দুর্গন্ধ পরিবেশে কার্যত টেকা দায় ছিল। দীর্ঘ দিনের ওই মাছ বাজারের সমস্যা নিয়ে বার কয়েক স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে এলাকার পুরপ্রধানের কাছে বারবার দরবার করেছেন বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা। রাজ্যে পালা বদলের পরে, বোলপুরের গীতাঞ্জলিতে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিয়ে, বোলপুরকে ঢেলে সাজানোর কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে জেলা প্রশাসনের কাছে হাটতলা এলাকার সমস্যা নিয়ে জেনেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেয়ে, রাজ্য মৎস্য দফতর উদ্যোগী হয়। বোলপুর পুরসভার প্রায় এক বিঘে জমির ওপর অত্যাধুনিক মানের একটি মাছবাজার গড়ে তোলার কথা অঙ্গীকার করেছিলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রীর অঙ্গীকার মতো, ২ কোটি ১২ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্প ঘোষণা করে মৎস্য দফতর। মন্ত্রী বলেন, “ওই প্রকল্প থেকে ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি মাছ বাজার তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৩৮ জনকে ব্যবসার জায়গা দেওয়া হয়েছে।’’ মাছবাজারে পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা-সহ টয়লেট রয়েছে। রয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের গাড়ি, সাইকেল রাখার জায়গা।
এ দিনের অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মহম্মদ শরিফ বলেন, ‘‘আমরা মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। দীর্ঘ দিনের চাহিদা ছিল। সেটা মিটল। বাকি ব্যবসাদারদের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে দ্রুত। তাঁরাও জায়গা পাবেন।’’
মন্ত্রীর দাবি, ওই এলাকায় একটি হিমঘর, সব্জি বিক্রি এবং গচ্ছিত রাখার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা চলছে। নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে এলাকায় একটি হাট করা নিয়ে। যাতে আড়তদারদের পাশাপাশি খুচরো বিক্রেতারাও সুযোগ সুবিধা পাবেন।