উত্তম লেট।-নিজস্ব চিত্র।
প্রায় দু'দশক কেটে গিয়েছে। নিখোঁজ ছেলের পথ চেয়ে বসে থাকতেন বাসন্তী লেট। বিশ্বাস ছিল, ছেলে এক দিন ঠিক ফিরে আসবে। বীরভূমের নলহাটি থানার কানিশাইল গ্রামের বাসিন্দা বাসন্তী ছেলের অপেক্ষায় কাটিয়ে দিয়েছেন ১৯ বছর। অবশেষে তাঁর বিশ্বাস সত্যি হল। অবসান হল অপেক্ষার।
২০০০ সালের বন্যার ঠিক পরের বছর নিখোঁজ হন উত্তম। তখন নলহাটি থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। কী ভাবে নিখোঁজ হন তিনি?
উত্তম জানান, তখন তিনি ১০ বছরের ছেলে। মানসিক ভাবে অসুস্থও। নলহাটিতে ট্রেনে উঠেছিলেন মনে রয়েছে, কিন্তু তার পর কোন স্টেশনে গিয়ে নেমেছিলেন মনে নেই। মাঝের ১৫ বছর খড়গপুর স্টেশনের কাছে এক চায়ের দোকানে কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকে লরিতে খালাসির কাজে যোগ দেন। এই দীর্ঘ সময়ে বার বারই তাঁর পরিবারের কথা মনে পড়েছে। কিন্তু যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের প্রস্তাব ফেরালেন কৃষকরা? আন্দোলনেই অনড়, সিল দিল্লি সীমানা
এত দিন পর গ্রামে ফিরে তিনি দেখেন, অনেক পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। ছোটবেলার কথা মনে করেই নিজের বাড়ি খুঁজে পেয়েছেন তিনি। বাবার মৃত্যু হয়েছে। মাও প্রথমে চিনতে পারেননি তাঁকে। পরে কপালে কালো দাগ দেখে মা চিনতে পারেন ছেলেকে। পরিবারের লোকেরা তাঁকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা। গ্রামের লোকজনও ভিড় জমিয়েছেন তাঁর বাড়িতে।