চন্দ্রনাথ সিংহ, রাজ্যের মন্ত্রী — ফাইল চিত্র।
বুধবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু ইডি দফতরে যাচ্ছেন না রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। তাঁর বদলে ইডি দফতরে যাবেন তাঁর প্রতিনিধি। সূত্রের খবর, চন্দ্রনাথের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় মন্ত্রীর মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেই ফোনটি খোলার জন্যই চন্দ্রনাথকে তলব করা হয়েছিল।
গত শুক্রবার বীরভূমের বোলপুরে চন্দ্রনাথের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তল্লাশি চলে। সূত্রের খবর, রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পমন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৪১ লক্ষ টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এ ছাড়া চন্দ্রনাথের মোবাইল ফোনটিও বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। সেই ফোন থেকে তথ্য বার করবে ইডি। সে জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল চন্দ্রনাথকে। কারও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হলে, পরবর্তীতে সেই ব্যক্তিকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁর সামনেই ফোন থেকে তথ্য উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই চন্দ্রনাথকে বুধবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, বুধবার সল্টলেকের ইডি কার্যালয়ে হাজির হবেন চন্দ্রনাথের প্রতিনিধি।
ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলাকালীন চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত বলাগড়ের বহিষ্কৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বাড়িতে অভিযান চালানো হয় বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে নেমে কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, সেই তল্লাশি অভিযানের সময় একটি রেজিস্টার খাতা তদন্তকারী আধিকারিকদের হাতে আসে। সেখানে ১০০ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পাওয়া যায়। চন্দ্রনাথের মাধ্যমেই ওই ১০০ জন চাকরিপ্রার্থী কুন্তলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তল এবং চন্দ্রনাথের মধ্যে এক জন মিডলম্যান ছিলেন। তাঁকে জেরা করেও চন্দ্রনাথের নাম উঠে আসে বলে ইডি সূত্রে খবর।