—ফাইল চিত্র।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোট নির্ণায়ক হতে পারে বুঝে মাঠে নেমেছে সব দল। নতুন দলও তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন বা মিমও। বিহার ভোটে মিমের ভূমিকা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। অনেকেই মনে করেন, মিমের ভোট প্রাপ্তি বিজেপির সুবিধে করে দিয়েছে। সেই সংগঠন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে বীরভূমেও বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক বৈঠক করে ফেলেছে। রবিবার তেমনই এক বৈঠক হয় রামপুরহাটে।
বৈঠকের আহ্বায়ক ছিলেন মিমের জেলা সম্পাদক মহম্মদ সোয়েব আখতার। বৈঠকে বীরভূমের ১৯টি ব্লকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সব মিলিয়ে ওই বৈঠকে ৫০ জন উপস্থিত ছিলেন বলে মহম্মদ সোয়েব আখতার জানান। বৈঠকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে মুরারই, নলহাটি এই দুই বিধানসভার বুথ কমিটি গঠন চূড়ান্ত করা হয়। বুথ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থীও ঠিক করা হয়। নলহাটি, মুরারই বিধানসভার মতো রামপুরহাট বিধানসভার বুথ কমিটি চূড়ান্ত করা হয়। তবে রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন, সেটা নিয়ে এখন ভিন্নমত চলছে। অন্য দিকে, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে নানুর বিধানসভা কেন্দ্রে বুথ কমিটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রার্থীও ঠিক করা হয়েছে বলে মিম সূত্রে জানা গিয়েছে। বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে বৈঠক হবে বলে দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন।
এ রাজ্যে তৃণমূল শুরু থেকেই সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশকে পাশে পেয়েছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত। বীরভূমেও তার প্রমাণ মিলেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম কেন্দ্রে শতাব্দী রায় সিউড়ি, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির থেকে পিছিয়ে থাকলেও মুরারই, নলহাটি, হাঁসন এই তিন বিধানসভা ক্ষেত্র থেকে বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন। এদের মধ্যে মুরারই বিধানসভা শতাব্দী রায়কে প্রায় ৭০ হাজারের কাছাকাছি ভোটে লিড দিয়েছিল। মুরারই বিধানসভায় ৮০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূল পেয়েছে। নলহাটি বিধানসভা ক্ষেত্রেও সংখ্যালঘু ভোটে শতাব্দী রায়ের জয়ের পথ সুগম হয়েছিল।
এমন আবহে মাঠে নেমে পড়েছে অন্য সংগঠনগুলিও। ফলে অনেকেই ভোট ভাগের শঙ্কায় রয়েছেন। এ দিকে, জেলার প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মিম নেতৃত্ব। রয়েছে ব্লক এবং পঞ্চায়েত ভিত্তিক কমিটিও।