মেধাতালিকা ঘিরে বিতর্ক। —ফাইল চিত্র।
মেধাতালিকায় একশোর মধ্যে কেউ দু’শো ছুঁয়ে এগিয়ে গিয়েছেন আরও কিছুটা। আবার কেউ বা একশো আটানব্বই নম্বর পেয়েছেন। বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে এ হেন মেধাতালিকা দেখে চোখ কপালে উঠেছে অনেকেরই।
বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের এমএড-এর মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছে। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছে পড়ুয়াদের। এমন ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। কর্তৃপক্ষের এমন কাণ্ড দেখে হতবাক তাঁরা। কোন প্রক্রিয়ায় এমন মূল্যায়ন হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। যদিও এ নিয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি কর্তৃপক্ষের তরফে।
এ বছর বিনয় ভবনে এমএড পাঠক্রমে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর। পরীক্ষা দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ এবং অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ওই পাঠক্রমটির ৫০টি আসনের মধ্যে ২৫টি অভ্যন্তরীণ এবং ২৫টি আসন বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য সংরক্ষিত। ১০০ নম্বরের পরীক্ষার মধ্যে ৬০ নম্বর লিখিত এবং ৪০ নম্বর আগের পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ধারিত হয়। পরীক্ষার পর মেধাতালিকার ভিত্তিতেই ভর্তির সুযোগ পান পরীক্ষার্থীরা। কিন্তু সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভাষা বিভাগে দুই পড়ুয়া পূর্ণ মান একশোর মধ্যে পেয়েছেন যথাক্রমে দু’শো এবং একশো আটানব্বইয়ের কিছুটা বেশি। সমাজবিজ্ঞান বিভাগে দুই পড়ুয়া পেয়েছেন যথাক্রমে একশো ছিয়ানব্বই এবং একশো একান্নর কিছুটা বেশি। কী ভাবে পরীক্ষার্থীরা এই নম্বর পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।