স্টল তৈরির কাজ এগোচ্ছে ডাকবাংলো মাঠে। নিজস্ব চিত্র
আর ক’দিন পরেই শুরু হতে চলেছে বিকল্প পৌষমেলা। জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। মাঠে ইতিমধ্যেই অনেকটা সেজে উঠেছে।
বিশ্বভারতী এ বার ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা না করায় জেলা প্রশাসন বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে গত বারের মতো বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করেছে। মাঠটিকে ব্লক এ, বি, সি করে পাঁচটি ব্লকেও ভাগ করা হয়েছে। রবিবার থেকে স্টল বন্টনের কাজ হয়েছে। সূত্রের খবর, অধিকাংশ স্টল বুকিং হয়ে গিয়েছে।
ডাকবাংলো মাঠে গিয়ে দেখা গেল কোথাও স্টল বাঁধার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। কোথাযও আবার স্টল নিতে সকাল থেকেই ভিড় করেছেন ব্যবসায়ীরা। পুলিশ প্রশাসন ও পুরসভার তরফে মেলার মাঠ পরিদর্শন করা হয়েছে একাধিকবার। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ বার যেহেতু বড় আকারের মেলা হচ্ছে, তাই পর্যাপ্ত পানীয় জল, বিদ্যুৎ ও অস্থায়ী শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেও গতবারের মতো এ বারও সিভিক ভলেন্টিয়ার্স, পুরুষ ও মহিলা পুলিশ কর্মী, অফিসার পর্যাপ্ত সংখ্যায় মোতায়েন করা হবে। বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা আটকাতে এন্টি ক্রাইম টিম, মেলা প্রাঙ্গণে কন্ট্রোল রুম, ওয়াচ টাওয়ার, সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানা গিয়েছে।
মেলার কয়েকটা দিন যানজট এড়াতেও একাধিক ড্রপ গেট ও একমুখী রাস্তা করার ভাবনা চিন্তা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে এ বছর মেলার পরিধি বড় হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অনেকেরই মত, পূর্বপল্লি মেলার মাঠে পৌষমেলা না হলেও বিকল্প পৌষমেলাও বেচাকেনা ভাল হবে। খাবারের দোকান ব্যবসায়ী সুজন দাস, হস্তশিল্প ব্যবসায়ী শিবু পাল, সবিতা দাসরা বলেন, “শেষমেষ প্রশাসনের উদ্যোগে মেলা হওয়ায় আমরা খুশি।’’ বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘পৌষমেলা বরাবর বিশ্বভারতীর মাঠেই ভাল লাগে। কিন্তু উপাচার্য যেহেতু মেলা করলেন না, তাই সবাই মিলে আবারও আমরা সেই মেলা করার উদ্যোগ নিয়েছি। এটুকু বলতে পারি শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা থেকে এই মেলা কোনও অংশে কম হবে না।’’