ইন্দাসের কর্মিসভায়। নিজস্ব চিত্র
বিজেপির চাপের কাছে তৃণমূল নতি স্বীকার করেছে—সোমবার বাঁকুড়ার ইন্দাস বিধানসভায় সিপিএমের নির্বাচনী কর্মিসভা থেকে এমনই দাবি করলেন দলের নেতা মহম্মদ সেলিম। ইন্দাস সিনেমাতলায় ওই সভায় যোগ দেন দলের জেলা সম্পাদক অজিত পতি-সহ অন্য নেতৃত্বও।
সভা থেকে সেলিম অভিযোগ করেন, ‘‘রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কৃষক সম্মান নিধি’ প্রকল্প মেনে নিয়েছে। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র সরকারের নীতি ও প্রকল্পের বিরুদ্ধে নন। উনি নাটক করছেন। বিজেপির চাপের কাছে তৃণমূল নতি স্বীকার করছে।’’ পাশাপাশি, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি নিয়ে তাঁর টিপ্পনী, লকডাউনে সব যখন বন্ধ ছিল, মানুষ ঘরে ছিলেন, তখনই দুয়ারে সরকারের বেশি দরকার ছিল।
এ দিন সাম্প্রতিক দলবদল নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি, দু’দলের বিরুদ্ধেই তোপ দাগেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, উনি ২৯৪টি কেন্দ্রে প্রার্থী। সে সময়ে নারদা কাণ্ড ধরা পড়ে। নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক, মেয়রকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। এখন পিঠ বাঁচাতে, নারদার টাকা যাতে উদ্ধার না হয়, ঘুষখোরেরা যাতে শাস্তি না পায়, তাই বিজেপি ও তৃণমূলের ভোটের আগে দলবদলের যৌথ
মহড়া চলছে।’’
বিজেপির দিকে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এখন সেই চোরদের নিয়ে বিজেপি বড় চোরের দল তৈরি করছে। বিজেপির একা লড়াই করে জেতার আত্মবিশ্বাস থাকলে তৃণমূলের পচা-গলাদের নিত না। সিপিএমের লড়াই এ সব বড়-ছোট, সব
চোরেদের বিরুদ্ধে।’’
যদিও বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজিত অগস্তির প্রশ্ন, ‘‘তৃণমূলের পচা-গলারা তৃণমূলেই দিদির কাছে রয়েছেন। সিপিএমের যে পচা-গলারা তৃণমূলে গিয়েছিলেন, তাঁদের ব্যাপারে উনি
কী বলবেন?’’
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরাও বলেন, ‘‘ওঁদের মতিভ্রম হয়েছে। যাঁরা উনিশের লোকসভা নির্বাচনে নিজেদের ভোট বিজেপিতে দিয়েছিলেন, তাঁদের মুখে এ সব কথা সাজে না।’’