এনআরসি নিয়ে সেলিমের কটাক্ষ

হাজার পাঁচেক মানুষ বৃহস্পতিবারের সেই মিছিলে শামিল হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি। তবে পুলিশের দাবি, সংখ্যাটা আড়াই হাজারের মতো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাত্রসায়র ও কোতুলপুর শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৩০
Share:

পাত্রসায়রে সেলিম। নিজস্ব চিত্র

এনআরসি-র (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) বিরোধিতায় পাত্রসায়রে আবার মিছিল করল সিপিএম। হাঁটলেন দলের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। হাজার পাঁচেক মানুষ বৃহস্পতিবারের সেই মিছিলে শামিল হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি। তবে পুলিশের দাবি, সংখ্যাটা আড়াই হাজারের মতো।

Advertisement

এক সময় ‘লালদুর্গ’ বলে পরিচিত ছিল বাঁকুড়ার পাত্রসায়র বা ইন্দাসের মতো জায়গাগুলি। পালাবদলের পরে সেখানে পায়ের তলার মাটি অনেকটাই আলগা হয়ে গিয়েছিল বামেদের। দলের নেতাদের দাবি, গত মাসের শেষেও এই সমস্ত এলাকায় স্মারকলিপি জমা দেওয়ার মিছিলে ভাল জমায়েত হয়েছিল। এ দিন অজিতবাবু বলেন, ‘‘পাত্রসায়রে সিপিএমের ভিত শক্ত। এখানে সিপিএম সব সময়ে আছে। তৃণমূলের গুন্ডারা তাদের বেরোতে দিত না। এ বার মানুষ বেরিয়ে এসেছেন।’’ তবে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরার বক্তব্য, ‘‘সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। সিপিএমের লোকজন কেন নিষ্ক্রিয় ছিলেন, সেটা ওঁরাই ভাল বলতে পারবেন। তৃণমূল কাউকে বাধা দেয়নি।’’

বৃহস্পতিবার রসুলপুর থেকে পাত্রসায়র পর্যন্ত এনআরসি বিরোধী এগারো কিলোমিটার পদযাত্রার আয়োজন করেছিল সিপিএম। পুরো রাস্তা কর্মীদের সঙ্গে হেঁটেছেন মহম্মদ সেলিম। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি, সোনামুখীর বিধায়ক অজিত রায়। পদযাত্রা শেষে একটি সভা হয় পাত্রসায়রে। ওই সভায় সেলিম বলেন, ‘‘তৃণমূল অনেক মিথ্যা মামলা করে। কিন্তু যে দিলীপ ঘোষ রোজ দু’লক্ষ মানুষকে বার করে দেওয়ার কথা বলছেন, যে আতঙ্কে ছাব্বিশ জন মানুষ মারা গিয়েছেন, তার দায় কে নেবে? এই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে না তৃণমূল। ওরা আসলে ‘মাসতুতো ভাই’।’’ যদিও এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের শ্যামলবাবুর বক্তব্য, ‘‘এনআরসি নিয়ে তৃণমূলই লড়ছে।’’

Advertisement

পরে সাংবাদিকদের সেলিম বলেন, ‘‘অনেকে মনে করেছিলেন, তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনলে ভাল হবে। আবার অনেকে বলেছিলেন, বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূল। বাস্তবে কেউ কাউকে আটকাচ্ছে না। ‘গুজরাট মডেল’-এর কথা বলে এখন ‘অসম মডেল’ চালু করতে চাইছে।’’ সেলিমের বক্তব্য, ‘‘বামপন্থীরা দুর্বল হয়েছিল বলেই এই সুযোগ ওরা পেয়েছিল। বামপন্থীরা এককাট্টা হওয়া মানেই মানুষ এককাট্টা হওয়া। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেই এনআরসি রুখতে হবে।’’ বৃহস্পতিবার কোতুলপুর উত্তর ও দক্ষিণ এরিয়া কমিটির উদ্যোগে কোতুলপুরের লালবাজারে (সিহড়ে) সিপিএমের একটি সমাবেশ হয়। সেখানেও যোগ দেন সেলিম। কোতুলপুরে সেলিম বলেন, ‘‘ধর্মীয় বিশ্বাসকে গুজবের মধ্যে প্রয়োগ করে প্রচার করতে চায় বিজেপি।’’ তবে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘বামপন্থীরা কোনও দিন গঠনমূলক কাজ করেননি। মিথ্যা প্রচার করে এসেছেন। এখনও তাই করছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement