প্রতীকী চিত্র।
করোনা পরিস্থিতির জন্য পেনশনারদের জন্য এ বার লাইফ সার্টিফিকেট জমার নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। কিন্তু অনেকেই সেই ব্যবস্থা না জানায় ব্যাঙ্কেই যাচ্ছেন অন্য বছরের মতো। ব্যাঙ্ক কর্মীরা বলছেন, অনেকেই নতুন নিয়মে ব্যাঙ্ক না এসেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিচ্ছেন। কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কিছু গ্রাহক আবার ব্যাঙ্কে এসেই নতুন নিয়মের কথা জানতে পারছেন।
নতুন ব্যবস্থায় ব্যাঙ্কে ভিড় না করেই কোনও সাইবার ক্যাফেতে বায়োমেট্রিক দিয়ে অনলাননে ফর্ম জমা করা যায়। রসিদ ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দিলেই হবে। আর যদি কারও পক্ষে বায়োমেট্রিক দিতে বাড়ির বাইরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে তাঁরা কাউকে দিয়ে ব্যাঙ্কে ফর্ম পাঠিয়ে দিতে পারেন। ব্যাঙ্কের তরফে হয় বাড়িতে গিয়ে বায়োমেট্রিক নেওয়া হবে অথবা ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করবেন ব্যঙ্ক কর্মীরা।
শান্তিনিকেতন স্টেট ব্যাঙ্কের এক আধিকারিক সুশান্ত দাস বলেন, “আমরা সরকারি নির্দেশ মেনেই সমস্ত ব্যবস্থা করেছি। অনেকেই অনলাইনে ফর্ম জমা করছেন। কেউ আবার পরিবারের কারও মাধ্যমে বাইরে ড্রপ বক্সে ফর্ম ফেলে দিয়েছেন। অনেকে ইমেলেও পাঠাচ্ছেন। প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে বা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।”
কিন্তু এই পদ্ধতির কথা যে অনেকেই জানেন না তা বীরভূমের ব্যাঙ্কগুলিতে গেলেই দেখা যাচ্ছে। সুপ্রভ চট্টোপাধ্যায় নামে এক পেনশনার বলেন, “এই নতুন পদ্ধতির কথা জানিই না। তাই নিজেই শান্তিনিকেতন স্টেট ব্যাঙ্কে হাজির হছি।” সুভাষ মণ্ডল নামে আর এক পেনশনার বলেন, “খুব ভাল নিয়ম, ব্যাঙ্কের বাইরে একটা ড্রপ বক্সও করা হয়েছে। কিন্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আগেই যদি আমাদের বিষয়টি জানাতেন তা হলে আমাদের আর কষ্ট করে এই পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে বেরতে হত না।” অনেক গ্রাহকই আবার বলছেন, সরকারি তরফে নিয়ম করা হলেও প্রচারের অভাবে জানতে পারছেন না পেনশনাররা।