এই মোটরবাইকগুিলতে করেই কয়লা পাচার হচ্ছিল। নিজস্ব িচত্র
মোটরবাইকে কয়লা পাচারের সময় সাত জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আটক হল আটটি মোটরবাইক। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে নলহাটি থানার হরিদাসপুর-জয়পুর রাস্তায়। পুলিশ সার দিয়ে কয়লা বোঝাই মোটরবাইক যেতে দেখে আটক করে। এক জন মোটরবাইক চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বাকিরা ধরা পড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন ট্রাক ও ট্রাক্টরে কয়লা নিয়ে যেতে গিয়ে নাকা তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর আগে জেলার বিভিন্ন থানায় ট্রাক্টরের কয়লা উপরে বালি ও পাথর ছিটিয়ে পুলিশের চোখ এড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এ ভাবে বেশ কয়েক বার ধরাও পড়ে যায়। তাই এখন অন্য কৌশল নিয়েছে পাচারকারীরা। পাচারকারীরা পরিচিত রাস্তা ছেড়ে, গ্রামের রাস্তা দিয়ে পাচার শুরু করেছে। ঝাড়খণ্ডের আমারাপাড়া, পাকুড় এলাকার বিভিন্ন খোলামুখ কয়লা খনি থেকে কয়লা মোটরবাইকে করে গ্রামের ভিতরের নানা পথ ধরে পাচারের চেষ্টা শুরু হয়েছে। কারণ, এ সব পথে সাধারণত পুলিশের নজরদারি কম থাকে। ফলে, পুলিশের নজর এড়িয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছিল কয়লা।
পুলিশ জানিয়েছে, মোটরবাইকেগুলিতে পাঁচ টনেরও বেশি কয়লা বহন করার ক্ষমতা আছে। সাধারণ বাইকগুলির থেকে অন্য রকম ভাবে তৈরি করা হয়েছে এই বাইকগুলিকে। সাধারণ বাইকে একটি শকার থাকে। কয়লা পাচারের জন্য ব্যবহৃত এই সব বাইকে তিনটি শকার লাগানো আছে। পুরনো মোটরবাইককে এ ভাবে শক্তিশালী করে পাচারে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ জানান, নলহাটি থানার হরিদাসপুর পঞ্চায়েতের পাশেই ঝাড়খণ্ড রাজ্য। পাচারকারীরা গ্রামের পথ ধরে ভোরের আলো ফোটার আগেই গন্তব্য স্থলে পৌঁছে যায়। এ ভাবে ঝাড়খণ্ড থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা তুলে জেলা ও ভিন্ জেলার ইট ভাটায় নিয়ে যাওয়া হয়। শীতের শুরুতেই ইট ভাটায় কাজ শুরু হয়। তাই এই সময়ে কয়লা পাচার বাড়বে। তবে পুলিশ নজরদারি চালালে বন্ধ হবে কয়লা পাচার।
জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, আটটি মোটরবাইক আটক করা হয়েছে। সাত জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। প্রায় চার টন কয়লা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যে সব রাস্তায় নাকা তল্লাশি করা হয়, সে রাস্তা ছেড়ে গ্রামের রাস্তা দিয়ে পাচার করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। ধৃত সাত জনকে সোমবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘সকলের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের মহেশপুর থানা এলাকায়। বিচারক সকলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।’’