বালুডি গ্রামে জরাজীর্ণ জলের ট্যাঙ্ক। নিজস্ব চিত্র
থুরথুরে ট্যাঙ্ক হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লে কি টনক নড়বে— প্রশ্ন উঠছে মানবাজারে। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল ওভারহেড ট্যাঙ্কটি বাতিল হয়ে গিয়েছে বছর আটেক আগে। মানবাজারের বালুডি গ্রামের লোকজনের কাছে সেই ট্যাঙ্ক এখন মূর্তিমান আতঙ্ক।
রিজ়ার্ভার বাতিল হওয়ার পরে, এখন সরবরাহের জল সরাসরি নলের মাধ্যমে পাঠানো হয় ঘরে ঘরে। বৃহস্পতিবার বলুডি গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, সরবরাহ কেন্দ্রের গেটে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক পোস্টার দেওয়া আছে। দফতরের পক্ষ থেকে পাহারায় থাকা কর্মী জগন্নাথ মাহাতো বলেন, ‘‘এই রাস্তা ধরে যাঁরা যাতায়াত করছেন তাঁদের সাবধান করে দিচ্ছি।’’ দেখা গেল, স্তম্ভগুলির সিমেন্টের আস্তরণ উঠে গিয়ে লোহার রড বেরিয়ে এসেছে। জোরে হাওয়া বইলে উপর থেকে সিমেন্টের গুঁড়ো, কংক্রিটের চাঁই খসে পড়ে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন।
রিজ়ার্ভারের কাছেই সত্যবান রাজোয়াড় পরিবার নিয়ে বাস করেন। তিনি বলেন, ‘‘বিপদের ঝুঁকি নিয়েই আছি।’’ বলুডি গ্রামের ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা বাবলু চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘‘আট বছর আগে ট্যাঙ্কটা বাতিল হল, কিন্তু এত দিন ধরে কোনও পদক্ষেপ হল না কেন?’’ বিডিও (মানবাজার ১) নীলাদ্রি সরকার বলেন, ‘‘জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তাদের রিজ়ার্ভারের বিপজ্জনক পরিস্থিতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। দফতরের আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছেন। পাশেই একটি বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার রয়েছে। সেটি আগে সরানো দরকার।’’
মানবাজারে বিদ্যুৎবণ্টন সংস্থার এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ট্রান্সফর্মারটি সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অর্পিতা সাধু বলেন, ‘‘মানবাজারে রিজ়ার্ভার ভেঙে ফেলার ওয়ার্ক অর্ডার হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।’’