সুরক্ষা: আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার সার্কিট হাউসে ছড়ানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। শনিবার। ছবি: অভিজিৎ সিংহ
পর্যটন মরসুমের গোড়ায় মুকুটমণিপুর সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে বাঁকুড়ায় চার দিনের সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার খাতড়ায় সভা সেরে রাতে থাকার কথা মুকুটমণিপুরে। তার আগেই কাজ সারতে শুরু হয়েছে তৎপরতা। মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা রানিবাঁধের তৃণমূল বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগেই পর্যটনকেন্দ্র সাজানো শুরু করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে রবিবারের মধ্যে কাজ শেষ করে ফেলা হবে।’’
সোমবার বিকেল ৩টেয় খাতড়া গুরুসদয় মঞ্চে প্রশাসনিক সভা সেরে মুকুটমণিপুর কংসাবতী ভবনে ওঠার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। মঙ্গলবার দুপুরে সেখান থেকে খাতড়া এটিম গ্রাউন্ডে গিয়ে সরকারি পরিষেবা প্রদান করার কথা। মঙ্গলবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী বাঁকুড়া সার্কিট হাউসে থাকতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখান থেকেই বুধবার বাঁকুড়া ১ ব্লকের সুনুকপাহাড়িতে রাজনৈতিক সভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
শনিবার দেখা গেল, কংসাবতী ভবনের গেটের সামনে থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তায় আলপনা রং করার কাজ চলছে জোরকদমে। রাস্তার দু’পাশে ঝোপ সাফ করা হচ্ছে। রং করা হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সরকারি স্টলগুলি। পর্যটনকেন্দ্র সাজিয়ে তোলার দায়িত্ব পেয়েছেন সিমলাপালের পুখুরিয়া গ্রামের চন্দন রায়। তিনি বলেন, ‘‘২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জিরো পয়েন্টের রাস্তায় আলপনা আঁকা হয়েছিল। গত তিন বছরে সেগুলি কিছু নষ্ট হয়েছে।’’
চন্দনবাবু জানান, আলপনাগুলিতে নতুন রং করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হচ্ছে রঙিন আলো। জিরো পয়েন্টে ঢোকার রাস্তায় মঙ্গল কামনার প্রতীক হিসাবে প্রায় দশ ফুট উচ্চতার একটি পেঁচা তৈরি করা হবে। মুখে থাকবে মাস্ক। স্বাগত জানানোর সঙ্গে করোনা-সচেতনতার বার্তাও লেখা হবে।
মুকুটমণিপুর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বিপুল সাহু বলেন, ‘‘ভাল করে মরসুম শুরুর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে যে ভাবে এই জায়গা সেজে উঠছে, তাতে পর্যটকদের মন ভরে যাবে। স্থায়ী পরিকল্পনা নিলে আরও ভাল হয়।’’ জ্যোৎস্নাদেবী জানান, পর্যটনকেন্দ্রকে আরও সাজিয়েগুছিয়ে তোলার ব্যাপারে বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।