Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর ‘কথায়’ মাঠে বিজেপি বিধায়ক, চর্চা

গত বুধবার দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে দলীয় বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রী জনসংযোগে নামার নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২২ ০৫:৫৯
Share:

ফাইল চিত্র।

চাষিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ধান রুইলেন, মাঠে ট্রাক্টর চালালেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। শুক্রবার বাঁকুড়ার ধলডাঙায় ওই কর্মসূচি নিয়ে বিধায়কের দাবি, “দুর্গাপুরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের চাষিদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যে চাষিরা ভাল নেই। মুখ্যমন্ত্রীর মনে হয়েছে বিধায়কদের চাষিদের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমি চাষির বাড়ির ছেলে। তাই ঘরে বসে থাকতে পারি না।” তৃণমূলের তরফে তাঁর এই কর্মসূচিকে স্বাগত জানানো হলেও, চর্চা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে।

Advertisement

গত বুধবার দুর্গাপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে দলীয় বিধায়কদের মুখ্যমন্ত্রী জনসংযোগে নামার নির্দেশ দেন। বিধায়কদের চায়ের দোকানে বসে চা খেতে, গ্রামের লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে, মাঠে চাষিদের সঙ্গে চাষের কাজে হাত লাগাতে, ট্রাক্টর চালাতে বা ধান কাটার মতো কাজে হাত লাগাতে বলেন তিনি। বিজেপি সূত্রে অবশ্য খবর, বিধায়কের কর্মসূচির ও মন্তব্য নিয়ে দলীয় স্তরে চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির বাঁকুড়া জেলা কমিটির এক সদস্যের দাবি, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বিভিন্ন সময়ে চাষিদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন। উন্নয়নমূলক নানা প্রকল্প বানিয়েছেন। আমাদের বিধায়কের সেগুলি তুলে ধরা উচিত ছিল। উনি মুখ্যমন্ত্রীর কথায় কেন মাঠে নেমেছেন, বোঝা যাচ্ছে না।”

নীলাদ্রিশেখরের অবশ্য দাবি, “আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। রাজ্যের চাষিরা ভাল নেই। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যকে কটাক্ষ করতেই আমি ওই মন্তব্য করেছিলাম।”

Advertisement

দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, “বিধায়কের বক্তব্য শুনেছি। দলের পক্ষে অস্বস্তিজনক কোনও মন্তব্য তিনি করেননি।” তালড্যাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “বিজেপি বিধায়কের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথে ওঁদের এগিয়ে আসারআহ্বান জানাচ্ছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement