100 days' work

কাজের প্রশংসা এল নবান্ন থেকে

গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত মজবুত করতেই সমস্ত দফতরকে এক ছাতার তলায় এনে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য সরকার। মূলত পতিত রুক্ষ জমিতে আনাজ ফলানো, বিভিন্ন অর্থকরী গাছ লাগানো, হাপা খুঁড়ে মাছের চাষ ও পশুপালনের মতো একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪০
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রশাসনিক বৈঠকে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের কাজ নিয়ে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের তারিফ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবান্নের সভাগৃহের বৈঠকের প্রথম দিকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে ভাল কাজ করেছে পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রাম।” পরে রাজ্যর প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব কুমার বলেন, ‘‘মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে খুবই ভাল কাজ করেছে পুরুলিয়া। প্রকল্প থেকে তৈরি হওয়া সামগ্রী বিপণনের জন্য পুরুলিয়ার আউটলেট খোলা হয়েছে।” এ দিনের বৈঠকে পুরুলিয়া মুখ্যমন্ত্রীর তারিফ পেয়েছে একশো দিনের কাজদের প্রকল্পে ভাল কাজের জন্য। পর্যটনের প্রসার ও প্রচারে জঙ্গলমহলের দুই জেলা পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া ভাল কাজ করেছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত মজবুত করতেই সমস্ত দফতরকে এক ছাতার তলায় এনে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্প শুরু করেছে রাজ্য সরকার। মূলত পতিত রুক্ষ জমিতে আনাজ ফলানো, বিভিন্ন অর্থকরী গাছ লাগানো, হাপা খুঁড়ে মাছের চাষ ও পশুপালনের মতো একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের কাজ নিজে দেখভাল করতেন সদ্য বদলির নির্দেশ পাওয়া পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। জেলায় ২,১১৭ একর জমিতে এই প্রকল্পে বিভিন্ন কাজ করার লক্ষ্য নিয়েছিল প্রশাসন। তার মধ্যে দু’হাজার একরের কিছু বেশি জমিতে কাজ চলছে।

রাহুলবাবু বলেন, ‘‘পুরুলিয়ায় জল, মাটি ও মানুষকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে নেওয়া হয়েছিল।” তিনি জানান, পুরুলিয়ায় বৃষ্টির জল বয়ে চলে যায়। সঙ্গে নিয়ে যায় জমির উপরের মাটি। ক্ষতি হয় চাষের। এ সবের ফলে, কাজের সন্ধানে জেলার মানুষ অন্যত্র চলে যান। রাহুলবাবু বলেন, ‘‘মটির সৃষ্টি প্রকল্প পুরুলিয়ার জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছে। প্রচুর মানুষের রোজগারের ব্যবস্থা হয়েছে।”

Advertisement

অন্য দিকে, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পুরুলিয়া লক্ষ্যমাত্রা পার করায় তারিফ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, অক্টোবর পর্যন্ত জেলায় প্রায় ১ কোটি ৫ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। অক্টোবর শেষ হওয়ার পরে দেখা গিয়েছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে ১ কোটি ১০ লক্ষ শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে।

পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ দিনের বৈঠকে পর্যটন সচিব ও পর্যটন মন্ত্রীকে নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময়েই তিনি বলেন, ‘‘পর্যটনের প্রচারে ও প্রসারে ভাল কাজ করেছে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া।” দুই জেলার প্রশাসনই নতুন জায়গাকে পর্যটনের মানচিত্রে ও পর্যটনস্থলগুলিকে প্রচারের আলোয় আনতে পেরেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাহুলবাবু বলেন, ‘‘পর্যটনে শিল্পের পরিকাঠামোর বিকাশ করা গিয়েছে বলেই জেলায় পর্যটনের বিকাশ ঘটেছে।”

তবে আগামী গ্রীষ্মে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় জলসঙ্কট মেটাতে এখন থেকেই প্রস্তুত হতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ায় ‘জাইকা’ প্রকল্পের কাজ খুব ধীর গতিতে হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এখন থেকেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ও রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতরকে আগামী গ্রীষ্মে দুই জেলার জলের সমস্যা মেটাতে পরিকল্পনা করে রাখতে হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement