রাস্তায় মিছিল। নিজস্ব চিত্র
দলীয় নেতার উপরে হামলার সাত দিন পরে প্রতিবাদে নামল সিপিএম। গত বৃহস্পতিবার রাতে (৪ এপ্রিল) সিপিএমের রানিবাঁধ এরিয়া কমিটির সম্পাদক মধুসূদন মাহাতোকে তাঁর সিঁদুরপুরের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুষ্কৃতীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। দু’জন গ্রেফতার হন। কিন্তু এতদিন প্রতিবাদ করতে পথে নামতে দেখা যায়নি সিপিএম কর্মীদের।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে ব্লক সদর রানিবাঁধের বটতলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক দলীয় কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রতিবাদ সভা করল সিপিএম। উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অমিয় পাত্র, সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় অজিতবাবু অভিযোগ তোলেন আসল অপরাধীদের আড়াল করছে পুলিশ। এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মা অবশ্য দাবি করেন, ‘‘ওই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
সে দিন হামলার পরে প্রহৃত নেতার পরিবার ও সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। তাঁরা নির্বাচন কমিশন ও রানিবাঁধ থানায় ডাকযোগে অভিযোগপত্র পাঠান। ক’দিনের মধ্যেই পুলিশ ওই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করে। তাঁরা অবশ্য জামিনে ছাড়া পান। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, হামলার পিছনে বিজেপি রয়েছে। আর বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ করেছিলেন, ওই হামলায় যুক্ত তৃণমূল কর্মীরা।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিকে, হামলার পরেই সিপিএমের নিচুতলার কর্মীদের একাংশ চেয়েছিলেন, নেমে প্রতিবাদ করা হোক। কারণ তা না হলে কর্মীদের মনোবল আরও ভেঙে যাবে। এই পরিস্থিতিতে ওই এলাকায় নির্বাচনী প্রচারই বা হবে কী ভাবে?
কিছু দিন আগেই হাসপাতাল ছেড়ে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন মধুসূদনবাবু। এ দিন চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর ভাই সাধুসূদন মাহাতো বলেন, ‘‘আমি বাইরে আছি। খবর পেয়েছি দাদাকে মারধরের ঘটনায় দল এ দিন প্রতিবাদ সভা করেছে। ভাল।’’
এতদিন পরে কেন প্রতিবাদ সভা? সিপিএমের জেলা সম্পাদকের দাবি, ‘‘মোটেই দেরি করিনি। আগে মধুসূদনবাবুকে সুস্থ করা দরকার ছিল। তারপরে আন্দোলন।’’