পুরুলিয়া থেকে মানবাজারে কর্মিসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাম প্রার্থীর সমর্থনে তেমন দেওয়াল লেখা দেখতে পাননি বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তহবিলের টানাটানিতেই দেওয়াল লেখা খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে। তাই নিজেই এক কর্মীকে ডেকে ২০ টাকা দিয়ে বললেন, ‘‘এই দিয়েই তহবিল তৈরি করা শুরু করুন। লাল শালু সামনে পেতে সকলের কাছ থেকে দু’টাকা, পাঁচ টাকা করে অনুদান সংগ্রহ করুন। কর্মিসভা শেষ হওয়ার পরেই যেন জোরকদমে দেওয়াল লিখন শুরু হয়।’’
শনিবার বিকেলে মানবাজারের পাথরমহড়া গ্রামে বাম প্রার্থী ফরওয়ার্ড ব্লকের বীর সিংহ মাহাতোর সমর্থনে কর্মিসভা ছিল। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় সভার কাজ শুরু হতে বিকেল গড়িয়ে যায়। কর্মিসভায় মানবাজার বিধানসভার ২৩টি পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। বিমানবাবু ছাড়াও ছিলেন বীরসিংহবাবু, ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য কমিটির সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায়, সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপ, প্রাক্তন মন্ত্রী বিলাসীবালা সহিস, প্রাক্তন বিধায়ক অবিনাশ মাহাতো ও সাম্যপ্যারী মাহাতো এবং ফব-র জেলা কমিটির সম্পাদক মিহির মাঝি প্রমুখ।
বিমানবাবু বলেন, ‘‘আমি পুরুলিয়া থেকে মানবাজার আসার পথে কোথাও তেমন ভাবে দেওয়াল লেখা দেখতে পাইনি। মানবাজারে এমনটা তো কখনও হয় না। খোঁজ নিতে গিয়ে আমাকে এক কর্মী বলেছেন নাকি পয়সার টানাটানি রয়েছে।’’ এরপরেই তিনি বলেন, তহবিল তৈরি করুন। অনেক জায়গায় দিতে হয় বলে তাই ২০ টাকাই দিলাম।’’
কর্মীদের তিনি জানান, পুরুলিয়া লোকসভার মধ্যে মানবাজার সব থেকে বড় বিধানসভা। প্রায় ২ লক্ষ ৪৭ হাজার ভোটার, বুথ রয়েছে ২৮৮টি। তেড়েফুঁড়ে দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রচারের কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন, ‘‘কর্মীরা কেউ কেউ আমাকে জানিয়েছেন, ফর-র নির্বাচনী প্রতীক ‘সিংহ’ আঁকা জটিল। তাদের বলি প্রার্থীর নামটা তো লিখতে পারবেন। তাই লিখুন।’’ মানবাজারে এখনও সিপিএমের প্রভাব বিশেষ কমেনি। বীরসিংহবাবু বলেন, ‘‘এ বার পুরুলিয়া লোকসভার নির্বাচন শেষভাগে বলে প্রচারে ঘাটতি দেওয়া চলবে না। এই এলাকার সিপিএম কর্মীরা খুবই দক্ষ। আশা করছি দেওয়াল লিখনের ঘাটতি কয়েকদিনের মধ্যে তাঁরা পুষিয়ে দেবেন।’’ রবিবার থেকেই শুরু হয়ে দেওয়াল লেখা।